তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী হাজার বছরে একজন আসে কি না এ নিয়েই আমার গভীর সন্দেহ রয়েছে।
ইশরাক হোসেন বলেন, একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন এবং মানুষের ভালোবাসায় তিনবার ক্ষমতায় আসা, এমন নজির বিরল। বহু নেতা এসেছেন, ভবিষ্যতেও আসবেন; কিন্তু খালেদা জিয়ার মতো আপসহীন, সাহসী ও দেশপ্রেমিক নেত্রী ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার কারাবন্দি জীবনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ৭৬ বছর বয়সে লিভার সিরোসিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত অবস্থায়ও তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন সরকার আপসের প্রস্তাব দিয়েছিল—নির্বাচনে অংশ নিলে মামলা তুলে নেওয়া হবে, চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি এক সেকেন্ডের জন্যও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
তিনি দাবি করেন, যদি দেশনেত্রী এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ভিত্তি রচনা না করতেন , তাহলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান সম্ভব হতো না। তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে আমার মনে হয় ১০০ বছরেও সরানো যেত না। তার পুত্র তারেক রহমান-এর নেতৃত্বে সেই আন্দোলন সফলভাবে এগিয়ে যায়।
অনুষ্ঠান শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিলে মোনাজাত করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
