বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা মেগা মেগা প্রকল্পের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা মেগাদুর্নীতি করে বাংলাদেশকে ফোকলা করে ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি আরেকটি দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।’
আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন করে বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ভিনদেশি কোনো এক রাষ্ট্রের আশীর্বাদে ও সমর্থনে বাংলার মসনদ দখল করে রাখার জন্য অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছে। জুলাই থেকে আগস্টে সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেও শেখ হাসিনার রক্ততৃষ্ণা মেটেনি। তিনি প্রয়োজনে লাখো মানুষ হত্যা করেও ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হতো না। এটি ছিল নাটক। এই নাটকের কুশীলব ছিল শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। এরা রাতের অন্ধকারে কালনাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারত। আবার সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়ত। এখন তারা নেই, নাটকও নেই। এখন বাংলাদেশ সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমদের প্রধান দায়িত্ব হলো দুর্গাপূজাসহ সব সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। পুলিশ ও প্রশাসনকে সরকারি দল নয়, রাষ্ট্রের কাজে, জনগণের কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, যে জাতির মায়েরা হাসিমুখে নিজের সন্তানকে সত্যের পথে উৎসর্গ করতে পারে, সে জাতিকে দাবায়ে রাখার শক্তি কারো নেই। আগস্ট বিপ্লবের ফসল হবে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশে ইসলামের বিপ্লব। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। খেলাফতের বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতা রাজপথে থাকবে, কেউ আগস্ট বিপ্লবকে ছিনতাই করতে চাইলে আমরা রুখে দাঁড়াব।’
এ ছাড়া পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্প্রদায় যেন কোনো মুসলিমের দারিদ্র্য ও সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাদিয়ানি বানাতে না পারে সে জন্য তিনি প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করেন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কাদিয়ানিদের করা সব মামলা তুলে নিতে এক মাসের সময় বেঁধে দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির পঞ্চগড়ের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনসহ খেলাফত মসজিশের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাকর্মীসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।