কোনো উপমাই যেনো তার জন্য যথেষ্ট নয়। মানুষের জন্য সংগ্রাম-লড়াই, জেল-জুলুম আর অবর্ণনীয় নির্যাতন সয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন কোটি বাংলাদেশির প্রিয় নেত্রী। তিনিই যেনো পুরো বাংলাদেশ। আর সংগ্রামে স্বদেশ হয়ে ওঠা নেত্রীকে বিদায় জানাতে মানুষের ঢল নামে, জনাকীর্ণ মেট্রোপলিটন পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দেশভরা ভালোবাসা নিয়েই অনন্তের পথে যাত্রা করলেন বেগম খালেদা জিয়া।
অগণিত মানুষের চোখের জল, শ্রদ্ধার সবটুকুই পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। যে দেশের জন্য তিনি জীবন উৎসর্গ করলেন, সেই দেশও দিলো তার যোগ্য সম্মান।
খালেদা জিয়ার জানাজার ময়দান ভরে যায় কানায় কানায়। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভেনিউ ছাড়িয়ে আশপাশের সব সড়ক, অলিগলি থেকে অজস্র মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন। জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য নারীদের জন্য রাখা হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
তবে শেষ পর্যন্ত জানাজার লাইন মূল ভ্যেনু থেকে ছাড়িয়ে যায় পৌঁছে যায় কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও, ধানমন্ডি আর বিজয় সরণিতেও।
এর আগে পরিবারের পক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। তিনি বলেন, আমি মরহুমা বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান। আমি আজকে এখানে উপস্থিত সকল ভাইয়েরা এবং বোনেরা-যারা উপস্থিত আছেন, মরহুমা বেগম খালেদা জিয়া জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় যদি আপনাদের কারো কাছ থেকে কোনো ঋণ নিয়ে থাকেন, দয়া করে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমি সেটি পরিশোধের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। একই সাথে উনি জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় উনার কোনো ব্যবহারে, উনার কোনো কথায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে মরহুমার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দোয়া করবেন। আল্লাহ তাআলা যাতে উনাকে বেহেশত দান করেন।
জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাম পাশে দাঁড়ান তারেক রহমান, তারপরে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং তারপরে দাঁড়ান নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বদিউল আলম মজুমদার।
আর সরকারপ্রধানের ডান পাশে ছিলেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, তারপরে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এবং তারপরে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
