সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সশস্ত্র গোষ্ঠী নানা রকম তৎপরতা-অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে, সেটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে আসছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হলো— আওয়ামী লীগ কী জিনিস এটি ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানকে জিজ্ঞাসা করতে হবে।
আজ বুধবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি একথা বলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘যদি বুঝতে হয় আওয়ামী লীগ কী জিনিস, তাহলে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, রওশন এরশাদ এবং এখন জাতীয় পার্টির যারা শীর্ষ নেতৃবৃন্দ রয়েছেন তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে হবে।
জিজ্ঞাসা করতে হবে হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন থেকে শুরু করে প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীকে যারা জীবনে একবার আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছেন। তাদের সবার ডিএনএর মধ্যে আওয়ামী লীগ যেভাবে জয় বাংলার স্লোগান লাগিয়ে দিয়েছে, যেভাবে শেখ হাসিনার স্লোগান পড়িয়ে দিয়েছে, যেভাবে বঙ্গবন্ধুর স্লোগান সেখানে ঢুকিয়ে দিয়েছে, ফলে এই লোকগুলো জীবনের একটা পর্যায়ে এসে তারা আর্তনাদ করতে বাধ্য হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আশির দশকে এরশাদ যে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে, সেই প্রতিশোধ তিনি নিয়েছেন ২০০৯ সালে এসে। ২০০৯ সালে তিনি যে প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছেন সেটা এরশাদের মৃত্যু পর্যন্ত তাকে তাড়া করেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টির অবস্থা কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, জাতীয় পার্টিতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন।’
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সম্প্রতি একটি টেলিফোন সংলাপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক ব্যক্তি গোপালগঞ্জের কোনো একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে ফোন করে তিনি হুমকি দিচ্ছেন। ওই ব্যক্তি বলার চেষ্টা করছেন— পরিবার পরিজন সবারই আছে, আপনি যদি আওয়ামী লীগের পরিবার পরিজনের ওপর জুলুম করেন, অত্যাচার করেন তাহলে আপনার পরিবারকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা স্পষ্টতই ভয় পেয়েছেন এবং তিনি সংঘাতে জড়ানোর চেষ্টা করেননি।
এই সুযোগে হুমকিদাতা তার ব্যক্তিগত পরিচয়, তিনি গোপালগঞ্জের মধ্যে কী করতে পারেন, গোপালগঞ্জের বাইরে কী করতে পারেন, তার সাংগঠনিক পরিচয় এবং বঙ্গবন্ধু গেরিলা বাহিনী ইতিমধ্যে সারা বাংলাদেশে যে কর্মকাণ্ড শুরু করেছে এবং এই কর্মকাণ্ড শেখ হাসিনার নির্দেশে হচ্ছে, এর সঙ্গে ভারত জড়িত আছে ইত্যাদি কথা তিনি প্রকাশ্যে বলার চেষ্টা করছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘অবাক করা ঘটনা হলো এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় ঘটে গেল কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার নড়াচড়া করছে না। সেই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কতটুকু কথাবার্তা হয়েছে আমি জানি না, তবে যিনি হুমকি দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না সে খবর আমরা দেখিনি।’