English

35 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

এই মুহূর্তে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই: কাদের

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই মুহূর্তে সংলাপে বসার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে দেশব্যাপী স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এখন জাতির সামনে এমন কোনো সংকট নেই, যার জন্য রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপের কোনো আবশ্যকতা বা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশবিরোধী অপশক্তির নানামুখী অপতৎপরতা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এবং প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রাকে কাঙ্ক্ষিত অভীষ্টে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

তিনি আরও বলেন, দেশে কোনো গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সংকট নেই এবং আগামী পাঁচ বছর পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির আলোচনার আবদার অযৌক্তিক উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা অবিবেচনাপ্রসূত ও অযৌক্তিকভাবে মিডিয়ার সামনে সংলাপের মাধ্যমে আলাপ-আলোচনার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। জনবিচ্ছিন্ন একটা দলের এই আলোচনার আবদার অর্থহীন। কারণ, তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত রাখার লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হলেও তখন তারা সাড়া দেয়নি। বরং তারা নির্বাচন বানচালের জন্য সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আজ তারা কোন মুখে আলোচনার কথা বলে? বিএনপি সবসময় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের শর্তযুক্ত সংলাপের দাবি করে আসছে। এমনকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেও এই দাবিতে তারা সরকার পতনের তথাকথিত এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু দেশবাসী তাদের অযৌক্তিক দাবিতে কোনো সাড়া দেয়নি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে আসছি, শর্তযুক্ত কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। দেশবাসী ভুলে যায়নি, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আলাপ-আলোচনার জন্য বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। সেই ফোনালাপে বেগম জিয়া বিদ্বেষপূর্ণ হিংস্র আচরণ করেছিলেন। একইভাবে খালেদা জিয়ার পুত্র কোকোর মৃত্যুর পর বিএনপি নেত্রীর বাড়ির গেট থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করেছিল, পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। গণতন্ত্রের পথ পরিহার করে যারা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বিচারে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।

আওয়ামী লীগ কখনো জনস্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়নি দাবি করে বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনো কোনো ষড়যন্ত্র বা চাপের মুখে জনস্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়নি- কখনো কারও কাছে মাথানত করেনি, করবেও না। বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারাকে সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন