বিএনপির প্রত্যাশা নির্বাচন যেন ডিসেম্বরের মধ্যেই হয়, খুব বেশি হলে জানুয়ারিতে হতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন নয়, সে ব্যাপারে কোনো কথা কিংবা ব্যাখ্যা দেয় না সরকার। কি কি কারণে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না তাও স্পষ্ট করতে পারেনি। এ ছাড়া ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর যে নির্বাচন হয়েছিল তা তিনমাসের মধ্যেই হয়েছিল। সেসময় যতটুকু সংস্কার করার তা করা হয়েছিল। কিন্তু এই সরকার প্রায় ১০ মাস আছে। এতদিনে খুব বেশি উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আওয়ামী লীগের ভোটে আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। এই সংগঠনের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক দাবি করাও বেআইনি কাজ। এই অবস্থান থেকে কে কি বলল তা নিয়ে ভাবনা চিন্তার কিছু নেই। তাদের কৃতকর্মের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কারো ফাঁসি হবে, কারো যাবজ্জীবন হবে, কেউ জেলে যাবে।
আজ সোমবার (৯ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গার নিজবাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
তারা আবার নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোনভাবে! এটিই তো অসংলগ্ন এবং বেআইনি।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
যারা দুষ্কর্ম করে তারা বিএনপির কেউ না উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপি স্পষ্ট বলে দিয়েছে অভিযুক্তদের ধরে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কেউ যদি অপকর্ম করে থাকে সে দায় তাকেই নিতে হবে। বিএনপি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত নয়। যারা করছে তারা বিএনপির কেউ না।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/epfx