English

35 C
Dhaka
শনিবার, মে ৪, ২০২৪
- Advertisement -

এর চেয়ে তো পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম: ফখরুল

- Advertisements -

নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কালীবাড়ির বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

Advertisements

ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। বাংলাদেশের জনগণের বেঁচে থাকা এখন খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ শিক্ষা, চিকিৎসা প্রতিটি ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তোলা হয়েছে। মানুষ এখন জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে বিএনপির সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি এখনো চলেছে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, যেদিন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল ও সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে তখন থেকে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। যখন একটি সরকার জনগণের সমর্থন হারায় কিন্তু তারা রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকে এবং নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় যায় সেটি হলো হাইব্রিড রিজিম। এই হাইব্রিড রিজিমের দ্বারা সরকার ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার থেকে বর্তমান সরকার আরো নিকৃষ্ট। আমরা পাকিস্তান আমলে আর্থিক ও জীবনযাত্রার দিক থেকে এর চেয়ে ভালো ছিলাম। তার পরও পাকিস্তান সরকার যেহেতু আমার অধিকার ও সম্পদ হরণ করত, সে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন তার থেকেও খারাপ অবস্থায় আমরা আছি। ’

Advertisements

বিএনপি পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করে আসছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে এখন সুশাসন নেই। সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি নেই। তারা মেগাপ্রজেক্টের নামে যা খুশি তা করছে। বাংলাদেশ আজকে ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ যা যা করা প্রয়োজন তা-ই করে যাচ্ছে, যেখানে জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করা হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, মুক্ত গণতন্ত্র ও মুক্ত সাংবাদিকতা অনেক আগেই আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইন করে তারা সত্য কথা বলায় বাধা তৈরি করেছে। তাই কেউ সাহস করে সত্য কথা বলতে ও লিখতে পারে না। এখন পরিকল্পিতভাবে কিছু সুবিধাবাদী সুশীল সমাজ তৈরি করা হয়েছে, যারা সরকারের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, ফলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে না।

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহসভাপতি আল মামুন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন