জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো: চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্ন বলেছেন , গণঅভ্যুত্থান কোনো দলীয় নয়, এটি জাতীয় বিবেকের জাগরণ। এটি কেবল সরকারের পতন নয়, এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার নিশ্চিত করার সংগ্রাম। আমরা বিশ্বাস করি,এই চেতনা থাকবে অটুট, এই সংগ্রাম হবে সফল, এবং এই বাংলাদেশ একদিন পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের মতো সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
৫ আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির নেতারা একথা বলেন।
বিবৃতিতে নেতারা আরো বলেন, ৫ আগস্ট ইতিহাসের সেই গৌরবময় দিন,যেদিন বাংলাদেশের সাহসী ছাত্রসমাজ, সাধারণ মানুষ, শিল্পী-সাহিত্যিক, আইনজীবী, প্রবাসী এবং সকল স্তরের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে অন্যায়, দুর্নীতি, দমন–পীড়নের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান শেখ হাসিনার দীর্ঘকালীন কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল, তা এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল। এটি ছিল বাংলাদেশের মানুষের জাগরণের দিন, এটি ছিল নতুন আশার শপথের দিন।
জাতীয় পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—এই গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বিপ্লব, যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্র–জনতা রক্তে ও ঘামে ইতিহাস লিখেছে।
আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেইসব শহীদদের, যারা ‘জুলাই গণহত্যা’র নির্মম শিকার হয়েছেন। আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই সেই সকল সংগ্রামীদের, যারা পরিবার, ক্যারিয়ার, জীবনের নিশ্চয়তা বিসর্জন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষায় অবিচল ছিলেন।
জাতীয় পার্টি, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে সব সময় বিশ্বাস করেছে—শান্তি, সহনশীলতা ও উন্নয়নের রাজনীতিতে। ছাত্র–জনতার এই গণঅভ্যুত্থানে জাতির যে চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটেছে, পল্লীবন্ধুই ছিলেন সেই রাজনীতির পথপ্রদর্শক। তিনি ছিলেন একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক যিনি ছাত্রসমাজের দাবি, জনতার স্বপ্ন ও জনগণের কণ্ঠস্বরকে সম্মান করে রাষ্ট্র পরিচালনার আদর্শ স্থাপন করেছিলেন।
আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকার করছি—আমরা এই অর্জিত গণতন্ত্র রক্ষায় সর্বদা সোচ্চার থাকবো। আমরা স্বপ্ন দেখি একটি বাংলাদেশ, যেখানে সরকার জনগণের সেবক, আর জনগণ হবে প্রকৃত মালিক।