বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এখন আর অন্তর্বর্তী সরকার নেই, বেসিক্যালি তারা বিএনপি ও কিছু জামায়েতের নির্দেশে চলছে। মূলত এই দুই দল মিলে এই সরকারটাকে চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যোবায়ের আহসান জাবের।
ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে সামান্তা বলেন, ‘আমরা দেখলাম যে ছাত্রদলের মনোনীত ভিপিকে খুবই জনপ্রিয়তা এবং তারপর দেখলাম তার বিরুদ্ধে সমালোচনাও শুরু হলো। এটা কিন্তু একটি আশঙ্কা তৈরি করে যে ছাত্রদলের হয়ে ভিপি নির্বাচনে জিতবে কিনা। এ নিয়ে সম্ভবত বিএনপির মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং তার চিন্তা করেছেন তারা পরাজিত হতে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যাতে ভোট দিতে না যায়, তার জন্য এক ধরনের প্রসেস চালু করা শুরু হতে পারে। যে অস্থিতিশীল পরিবেশ আছে, ক্যাম্পাসে ভোট দেওয়ার কোনো পরিবেশ নাই। যাতে করে ভোট বানচাল ও ভোটারে ওপর দায়টা পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি ডাকসু নির্বাচন বানচাল করা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। বরং সব দল নির্বিশেষে ডাকসু নির্বাচন যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, যারা জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছেন, তাদের আরো বেশি প্রয়োজন ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করা। তারাই যদি বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন, তবে সেটা তাদের রাজনৈতিক ভবিষতের জন্য একরকমের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘সৈকত সাহেব বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, প্রগতিশীল ছাত্র যারা আছেন, তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস দেখি সেখানে নানা সময় আওয়ামী লীগকে নেগলেট করার কাজটা প্রগতিশীল মনা বা যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করেন তাদের যোগসাযোগে হয়। আরেকটি অংশ তাদের বিপক্ষে থাকে। আমরা এ ক্ষেত্রেও দেখলাম যখন রিটটা করা হচ্ছে, রিটটা করার কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। যিনি এই রিটটা করেছেন, তার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও আইনজীবীর এই রিটে সাহায্য করেছেন তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেন।’