সংস্কার ও বিচার না করে কেন সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করে দল গঠন করল?- এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। নিত্যনতুন দাবি করে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করে দেশে ১/১১ নামিয়ে আনলে লাভটা হাসিনার হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন রাশেদ খান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এত দিন প্রধান উপদেষ্টা খুব ভালো ছিলেন।কিন্তু তিনি এখন হয়ে গেছেন গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার বিরোধী শক্তি! অথচ কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন তাদের কাছে খুব প্রিয়। তাদের যন্ত্রণায় সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা পর্যন্ত করা যেত না। অথচ সেই তারা প্রধান উপদেষ্টাকে নগ্ন ভাষায় সমালোচনা করছে।
সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, ‘মানে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া যাবে না।
নির্বাচন হয়ে গেলে তো তাদের বিচারপতি নিয়োগ, ডিসি নিয়োগ, ভিসি নিয়োগের খবরদারি থাকবে না। তাই যেকোনোভাবে সংস্কার ও বিচারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন আটকাতে হবে। কিন্তু সংস্কার ও বিচার না করে কেন সবচেয়ে প্রভাবশালী ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করে দল গঠন করল? চেয়ারে থাকলে যা করা যায়, আজকে চিল্লাচিল্লি করেও যে তা করা যাবে না, সেটা কি অনুমেয় ছিল না?’
আচ্ছা নতুন সংবিধান চান, তবে মুজিববাদী সংবিধান মেনে যে শপথ নিলেন, তখন মনে ছিল না? সংবিধানকে স্বীকৃতি দিয়ে, হাসিনার রাষ্ট্রপতির হাতে শপথ নিয়ে আবার তাকে অবৈধ বলা যায়? প্রশ্ন করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ‘নিত্যনতুন দাবি করে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করে দেশে ১/১১ নামিয়ে আনলে লাভটা কিন্তু হাসিনার হবে। তখন কিন্তু আমি-আপনি আমরা কেউ বাঁচতে পারব না। সুতরাং একগুঁয়ে মনোভাব না দেখিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের পথপ্রক্রিয়া আবিষ্কার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সবার নেওয়া উচিত।