জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ৩০০ সংসদীয় আসনেই যোগ্য প্রার্থী অন্বেষণের কাজ শুরু হয়েছে।’
আজ বুধবার সকালে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতা কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমাজে যারা সর্বজন সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য বিভিন্ন পেশাজীবী রয়েছেন তাদেরকেও একই পতাকাতলে নিয়ে আসার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া যারা বিগত সময়ে নানা মান অভিমান করে দল ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বা পার্টিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন তাদেরকেও সঙ্গে নিয়ে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার কর্মকাণ্ড সমান তালে চলছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঐক্যপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টির মালিকানা তার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কোন একক ব্যক্তির নেতৃত্বে আর কখনোই জাতীয় পার্টি পরিচালিত হবে না।’
এ সময় রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করে আসছি। পল্লীবন্ধু এরশাদ আমাকে দীর্ঘ ১৭ বছর তার মহাসচিব রেখেছেন। দেশের প্রায় সকল জেলা উপজেলা আমি সফর করেছি। জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। আমি সকলকে অনুরোধ করব আসুন মান অভিমান ভুলে আমরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী রূপে গড়ে তুলি।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে পল্লীবন্ধু এরশাদের রাষ্ট্র পরিচালনা ছিল স্বর্ণযুগ। সাধারণ মানুষ এখন বলছে, এরশাদের সময় ভালো ছিলাম। এই ভালো সময় আবারও দেশের মানুষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এরশাদের নয় বছরের শাসনামলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য করা যুগান্তকারী উন্নয়ন কাজগুলো আবারও সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য সারা দেশের শহর বন্দরে গ্রামে পল্লীবন্ধু এরশাদের কর্মী সমর্থকদের ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমার বিশ্বাস, আবারও দেশের মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি, সমৃদ্ধি, স্বস্তি, নিরাপত্তা এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভুইয়া, মো. বেলাল হোসেন, মিজানুর রহমান দুলাল, জিয়াউর রহমান বিপুল, মাসুদ, আব্দুস সাত্তার।