বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জনগণ প্রত্যাশা করে বর্তমাননির্বাচন কমিশন আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে। তারা একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অর্ন্তভূক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করবে এবং নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।’
আজ রবিবার সকালে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে কমিশনের কাছে দলের ২০২৪ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে।’ তাই বর্তমান কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে বলে প্রত্যাশা করে বিএনপি।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, তারা নির্বাচন বানচালে চক্রান্ত করতে পারে। সেগুলো সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যসিস্ট সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল। এছাড়া মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন হয়েছিল।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে বিএনপির আর্থিক আয়-ব্যয় বিবরণীতে আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে জমা রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯০ হাজার ১৯টাকা। গত পঞ্জিকা বছরের (২০২৪ সাল) আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দলটি।
সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, ‘সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।’