English

27.8 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫
- Advertisement -

বোতলকাণ্ড, যুবককে ‘খুঁজছে’ পুলিশ

- Advertisements -

তিন দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে পানির বোতল কে ছুড়েছে, তাকে খোঁজার কথা বলছে পুলিশ।

বুধবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে আন্দোলনকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় কে বা কারা বোতল ছুড়ে মারে।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা ওই যুবকের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলামও বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করছেন৷ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। জড়িত যুবককে পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিন দফা দাবি আদায়ে বুধবার দুপুর থেকে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে’ গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

ওইদিন রাত ১০টার পরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ছোড়া একটি বোতল মাহফুজ আলমের মাথায় আঘাত করে। এর কিছু আগে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে বলে তারা অভিযোগ করছিলেন উপদেষ্টার কাছে।

মাথায় আঘাত পাওয়ার পর মাহফুজ বলেন, ‘আপনাদের অপকর্মের মাধ্যমে আপনারা পুলিশের অবস্থানকে নায্যতা দিলেন।’

ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এনসিপির একাধিক নেতার সমালোচনার মধ্যে পুলিশ ‘ওই যুবককে খুঁজে পেতে’ তৎপরতার’ কথা বললো।

বিব্রতকর এ ঘটনার মধ্যে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেননি। তবে সরকার তাদের দাবি ‘বিবেচনা করছে’ বলে জানিয়েছেন।

সরকারের তরফে ‘নিশ্চিত আশ্বাস’ না পেয়ে রাতভর অবস্থানের পর বৃহস্পতিবারও আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান করছেন।

আবাসন সংকট নিরসনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে বুধবার পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ অভিমুখে ‘লং মার্চ’ শুরু করে। পথে পথে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

দুপুরের দিকে অন্তত পাঁচ দফা ব্যারিকেড ও পুলিশের বাধা ভেঙে তাদের মিছিল কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।

পুলিশের লাঠিপেটায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৭ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন