English

26 C
Dhaka
রবিবার, মে ৪, ২০২৫
- Advertisement -

ভারত নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে: দুদু

- Advertisements -
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভারত আমাদের নানাভাবে উসকানি দিচ্ছে। ভারত এ দেশে শুধু গণতন্ত্রবিনাশী শক্তিকে রাখেনি, নির্বাচনব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে। শেখ হাসিনার মাধ্যমে তারা তিনটা নির্বাচনে প্রমাণ করেছিল, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনীব্যবস্থাই নেই।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদ’ শীর্ষক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন ওই সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ হাসিনা নির্বাচনের নামে জালিয়াতি করেছে। নির্বাচনীব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সব অর্থে ভারতের ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল।
সে হয়তো আরেকটু সময় পেলে বাংলাদেশকেও ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে ফেলত। ভারতকে আমরা বন্ধু রাষ্ট্র মনে করি। কিন্তু ভারত কি বাংলাদেশকে বন্ধুরাষ্ট্র মনে করে? ভারত যা করছে, তাতে তারা বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র সেটি বলা খুব কঠিন। বাংলাদেশের লুটেরা, গণহত্যাকারী, বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি শেখ হাসিনাকে জায়গা দিয়েছে।

এতে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘ভারত একজন ফ্যাসিস্টকে জায়গা দিয়ে নিজেরকেও ফ্যাসিস্ট প্রমাণ করেছে। আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে রুখে দিয়েছি। আমাদের দেশে তার জায়গা হয়নি, তাকে আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি। সে জীবন বাঁচানোর জন্য শুধু ভারতে পালায়নি, তার আসল ঠিকানাই হচ্ছে ভারত।

আমরা তো হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকেও পরাজিত করেছিলাম, কিন্তু সে ভারতে যায়নি। সে জেলখানায় গিয়েছিল। ভারত বলছে, শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য তারা জায়গা দিয়েছে। মূলত রক্ষা নয়, শেখ হাসিনার আদর্শ হচ্ছে ভারত এবং তার ঠিকানাও ভারত। সে জন্য সে ভারতে গিয়েছে। তাকে জায়গা দিয়ে ভারত নিজেদের গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তি কখনো দাবি করতে পারে না। একজন ফ্যাসিস্ট শুধু ফ্যাসিস্টের সঙ্গেই থাকতে পারে।’

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য নানানভাবে, নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সে জন্য আমি বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাদের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে, দেশে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। যেটা বিএনপি বারবার আপনাদের বলেছে। সেই উদ্যোগ না নিলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা কঠিন হবে। আর জনগণ ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ভারতের জন্য সুবিধা হবে। সে জন্য সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মানুষকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মানুষের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার ক্ষমতা দিতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যা শুধু দেশকে রক্ষা করতে পারবে এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবে।’

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আরো সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশ, দল এবং নিজের পক্ষ থেকে ভারতের অগণতান্ত্রিক পৈশাচিক ভূমিকার প্রতিবাদ জানাই। ভারত সম্প্রতি নিজেদের সারা বিশ্বে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরেছে। তারা এতটাই নির্মম রাষ্ট্র, যে শুধু মুসলমানদের হত্যা করছে তা নয়, সে দেশের নিম্নমানের হিন্দু এবং নানা জাতি-উপজাতির ওপরও আক্রমণ করছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। যখন নির্বিচারে নারী-পুরুষ এবং মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তখন এটি কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।’

সমাবেশে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপত্বিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন