English

29 C
Dhaka
শনিবার, মে ১১, ২০২৪
- Advertisement -

ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল

- Advertisements -

‘এক আমেরিকার ভিসা নীতিতে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে’, বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আজকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাদের উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ পেয়েছে। সচিবালয়সহ সর্বত্র একই আলোচনা’।

খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তিসহ একদফা দাবিতে আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

Advertisements

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডাক্তাররা অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথ বলেছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার উন্নত চিকিৎসার বিদেশে প্রেরণের দাবি জানিয়েছি’।

বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। ধোলাইখাল চৌরাস্তায় এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও এর পরিধি রায় শাহ বাজার, টিপু সুলতান রোড, এবং লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত বিস্তৃতি হয়ে পড়ে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এক বছর যাবত আন্দোলন করছি’। প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার স্মৃতিচারণ করে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি মৃত্যুর আগপর্যন্ত কারো সাথে তিনি আপস করেননি। আজকে যারা বন্দী আছেন তাদের মুক্ত করেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করব’।

তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবী বলছে, বিগত দুটি নির্বাচন চুরি করেছো, এবার নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সরকার বলছে- নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, তা দেশের মানুষতো দূরের কথা, পাগলও বিশ্বাস করে না’।

Advertisements

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা পরিকল্পিতভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজকে গণতন্ত্র মুক্তি না পেলে, খালেদা জিয়া মুক্তি না পেলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তা নির্ভর করছে আপনাদের জনগণের ওপর। তাই আসুন কালবিলম্ব না করে সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজপথে নামি এবং এ স্বৈরশাসককে বিদায় করি’।

ঢাকা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, অর্পণা রায়, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান।

সমাবেশ উপলক্ষে দুপুরের আগে থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে হাতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা  প্লেকার্ড ও নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে সমবেত হতে থাকেন দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, হাজী মনির হোসেন চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, আকবর হোসেন নান্টু ভূঁইয়া, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলীম আল বারী জুয়েল, ডেমরা থানা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন খান, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির ৪৮ নং ওয়ার্ড সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ারীর ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান মনা ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক শহিদসহ নেতারা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন