English

16 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
- Advertisement -

মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশ সবচেয়ে শক্তিশালী হয়: তারেক রহমান

- Advertisements -

দেশের সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা স্মরণ করে তারেক রহমান দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “প্রিয় বাংলাদেশের বন্ধুরা, বোনেরা ও ভাইয়েরা, গত শুক্রবার দিনটা সারাজীবনের জন্য আমার হৃদয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আবার আমার মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখেছি।

আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢাকার রাস্তাজুড়ে মানুষের ঢল, আর লাখো মানুষের দোয়া… এই মুহূর্তগুলো আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না। সবার প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা “ 

তিনি বলেন, “এই ফিরে আসা নিয়ে আমার আর আমার পরিবারের মনে যে ভালোবাসা আর সম্মান কাজ করছে, তা শুধুমাত্র কথায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমাদের পাশে ছিলেন, কখনো আশা হারাননি, আপনাদের সাহস আমাকে প্রতিনিয়ত শক্তি জোগায়।”

“নাগরিক সমাজের মানুষজন, তরুণরা, পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিক…সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের ধন্যবাদ।

আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।” 

তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি দায়িত্বশীলতা ও যত্নের সঙ্গে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আর যারা আমার ফিরে আসার সময় নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করেছেন, সেই সাথে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, সেইসব আইন-শঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।”

তারেক রহমান বলেন, “আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

গণতন্ত্র, বহুদলীয় সহাবস্থান এবং জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর জোর দেওয়া এসব ভাবনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ, একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতির আশাবাদ এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকেও আমি গুরুত্ব দিচ্ছি। এসব পরামর্শ আমি বিনয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি।” 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার সেদিনের ভাষণের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি শুধু কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি; যে বাংলাদেশে শান্তি ও মর্যাদা থাকবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবে, আর প্রতিটি শিশু আশার আলো নিয়ে বড় হবে। এই পরিকল্পনা সব বাংলাদেশির জন্য।

একটি ঐক্যবদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য। সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার মত বাংলাদেশের জন্য।” 

দেশে ফিরে আসার সময় তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “আল্লাহ বাংলাদেশকে এবং আপনাদের সবাইকে সবসময় তাঁর রহমতে রাখুন।”

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/md19
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন