গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, যারা সারাক্ষণ বলে ‘ক্যু’ চায় না, ‘ক্যু’ চায় না, এরাই মূলত জনগণকে উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে ‘ক্যু’ তৈরির বা ‘ওয়ান-ইলেভেন’ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘গতকাল রাতে আর্মির বিরুদ্ধে মাদরাসার শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষকে নেমে আসার আহ্বান করেছেন কেউ কেউ। যারা এই আহ্বান করেছেন, তারা কিন্তু বলেননি, আমি লাগেজ নিয়ে রওনা দিয়েছি, বিমানে উঠেছি, দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে সেনাবাহিনীর এপিসির সামনে শুইয়ে দেশকে ক্যু থেকে বাঁচাতে রওনা দিয়েছি। ’
‘এসব গুজবে কান দিয়ে যদি সত্যিই কতিপয় মাদরাসার শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ কিংবা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী রাজপথে নেমে এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য টহলরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতিরোধ করার উদ্যোগ নিতো, তখন কী পরিবেশ তৈরি হতো? আমি স্রেফ বলি, যারা সারাক্ষণ বলে ক্যু চায় না, ক্যু চায় না। এরাই মূলত জনগণকে উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে ক্যু তৈরির বা ১/১১ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ’
তিনি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার দিকে আঙুল তুলে বলেন, “এর পেছনে কাজ করছে ভারতীয় ‘র’। ‘র’- এজেন্টরা এমনভাবে খেলছে যে, খালি চোখে মনে হতে পারে, এরা আপনার পক্ষে কথা বলছে, কিন্তু এরা বাস্তবে আপনাকে দিয়ে আত্মঘাতী কাজ করিয়ে ক্যু এর প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চায়। এটাই ভারতীয় প্ল্যান। সুতরাং কারও পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে, নিজেই সত্যমিথ্য যাচাই-বাছাই করতে শিখুন। ’