বিএনপি এমন একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে চায়, যেখানে শিক্ষা ও গবেষণা একযোগে অগ্রসর হবে এবং মেধাপাচার রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (২২ জুন) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অর্পণ আলোক সংঘের আয়োজনে, ‘শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক তারুণ্যের রাষ্ট্র সংলাপে তিনি এই পরামর্শ দেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষা খাতকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে গবেষণা ও শিক্ষায় সমান অগ্রগতি হয় এবং সেখানে কোনো বৈষম্য না থাকে।’
এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনগুলোর সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত ভূমিকার মাধ্যমেই একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠন সম্ভব।’
‘রাজনীতিবিদদের মতোই শিক্ষকদেরও দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের সংগঠনগুলোর সমর্থনও প্রয়োজন। এই তিনটি শক্তির সমন্বয়েই একটি কার্যকর রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’, বলেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।
তিনি বলেন, দেশে যদি গুণগত গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে আসতে আগ্রহী হবেন।
মেধাপাচার কমে আসবে এবং তারা দেশে থেকেই অবদান রাখতে চাইবেন, বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী বিদেশে গিয়ে আর ফেরেন না। কারণ দেশে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে তারা ফিরে আসতে আগ্রহী হন না।
অন্যদিকে চীন ও ভারত তাদের দক্ষ জনগোষ্ঠীর ফিরে আসার ফলে লাভবান হয়েছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা বিদেশে থাকেনি, বরং দেশে ফিরে এসেছে এবং প্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমনটি হচ্ছে না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহমেদ, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মাওদুদ আলমগীর পাভেল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।