শেখ পরিবারের সবাই চোর-ডাকাত বলে দাবি করেছেন জামায়াতের প্রয়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। তিনি বলেছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে, শেখ পরিবারের সবাই চোর-ডাকাত। শেখ মুজিবের ছেলে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশে ব্যাংক ডাকাতিসহ নানা ধরণের অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। তার মেয়ে ১৪টি ব্যাংক ডাকাতি করেছে।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাটের কাজ না করে বিল তুলে নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। কেবল শুধুমাত্র পিরোজপুরের রাস্তাঘাটের কাজ না করেই দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা চুরি করে নিয়েছে তারা। তাই, আমরা এসব চোরদের বিপক্ষে। ভারতের সঙ্গে থাকা বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনতে হবে। বাংলাদেশের সব শহীদ, সব মজলুম পরিবারের সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশ্যে হাসিনার ফাঁসি দিতে হবে। ফাঁসি ছাড়া তার অন্য কোনো বিচার আমরা মানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিপক্ষে, আমরা সকল মেধার পক্ষে আছি ও থাকব। কোনো কোটার পক্ষে থাকবো না। আগামী দিনে সকল বৈষম্যর বিরুদ্ধে থাকতে চাই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে তারপর এ বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসাবে গড়বো।’
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে নির্দোষ প্রমাণ করে আদালত মুক্তি দিয়েছেন। এ নির্দোষ অর্ডারের মাধ্যমে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার শুরু করেছিল, টোটাল বিচারটাই ছিল নাটক। মিথ্যা সাক্ষী ও নাটকের বিনিময়ে যে বিচারক, যে উকিলরা এ বিচার সাজিয়েছেন, যে বিচারকরা এ মামলার রায় দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আওয়ামী লীগ রাজাকারের ব্যবসা করতে করতে আম-ছালা সব হারিয়ে এখন ভারতে জানিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘লক্ষ্য করছি, আওয়ামী লীগের পথ ধরে এখন অনেকেই ওই রাজাকারের ব্যবসা শুরু করেছে। রাজাকারের ব্যবসা আর বাংলাদেশে চলবে না। একদল রাজাকারের ব্যবসা করতে গিয়ে আম-ছালা হারিয়েছে, তোমরা কি হারাবা সেটা হিসাব করো।’