সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি গত প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে। তবে লড়াই এখনও শেষ হয়নি।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরের ঘটনা প্রবাহ : জিয়াউর রহমান ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আমীর খসরু।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গণতন্ত্রের প্রধান বাহক নির্বাচন। অথচ সেই নির্বাচন বানচাল করতে বিভিন্ন চক্র নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা মূলত দেশের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত করতে চায়। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণই সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে বলেও দাবী করেন তিনি ।
‘গণতন্ত্র ও বিএনপি’ একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া বিএনপি চলতে পারে না, ঠিক তেমনি বিএনপিকে ছাড়া গণতন্ত্র সম্পন্ন হয় না। এদেশে বিএনপিই হল গণতন্ত্রের জনক। দেশের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তর সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই বাকশাল হটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য জানান, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন আপসহীন থেকেছেন, জেল খেটেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে আছেন। সেখানে থেকেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আমীর খসরু বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। তাই ভেদাভেদ ভুলে সবাই দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে তাকে বিজয়ী করুন। কারণ ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়’ এই শ্লোগানে বিশ্বাস করে বিএনপি।
