বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া যা যুগের পর যুগ চলবে। তাই বলে কি নির্বাচন হবে না? সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। কারণ জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আসবে না।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫- এর বানানী থানা বনাম তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের আট মাস পার হলেও এখনো পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ চলছে। আর এই সরকার দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। কারণ রাষ্ট্রের প্রত্যকটি জায়গাতে স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে। যার ফলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজমান। সুতরাং সবকিছু স্বাভাবিক এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচারের জন্য দেশে নির্বাচন দরকার।
নির্বাচন প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের একটি মহলকে ইঙ্গিত করে আমিনুল হক বলেন, এই সরকারের কারো মধ্যে ক্ষমতার মোহ লেগে বসেছে। তাই তারা অনির্বাচিত অবস্থায় স্বৈরাচারের মতো ক্ষমতায় থাকতে চায়, যা এদেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি। তাই নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে- এটা অন্তবর্তী সরকারের একটি মহল বুঝে গেছে, তাই তারা ষড়যন্ত্র করছে।
অন্তবর্তী সরকার ও নাম উল্লেখ না করে একটি গোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ভুলে যাবেন না- আপনারা যদি দুর্নীতি করেন, আপনারা যদি অপরাধী হন, আপনাদেরও বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতে হবে। আপনারাও কিন্তু ছাড় পাবেন না।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৫ বছরের ক্ষোভ ৫ আগস্টে মানুষ প্রকাশ করেছে। সেখানে মানুষের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল ভোট দিতে পারে নাই। মানুষ চায় গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহবায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, হাজী নাসির উদ্দীন, এমএস আহমাদ আলী, হান্নান হোসেন ভূইয়া, তাসলিমা রিতা ও অন্যান্য ওয়ার্ড বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।