নাসিম রুমি: গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার খুব কাছের হিসেবে পরিচিত ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে না জড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগে যোগ দিতেও নিষেধ করেছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
শনিবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম লাগোয়া এনএসসি টাওয়ারে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং এক সময়ের তুখোড় ক্রীড়াবিদ, দেশবরেণ্য ফুটবলার মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ কথা প্রসঙ্গে সাকিবের ইস্যু টেনে আনেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ‘সাকিবকে আমি উপদেশ দিয়েছিলাম- যাই করো না করো, আওয়ামী লীগে যেও না। ও তখন আমার কথা শুনলে আজ এই অবস্থায় পড়তে হতো না। এখন তো বাড়িতেই আসতে পারবে না।’
রাজনৈতিক বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, সাকিবের জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে ছিল যে, তার রাজনীতিতে না আসলেও চলত। ‘বলেছিলাম, তোমার অনেক নাম হয়েছে, এখন রাজনীতি করো না। কারণ, এই দলটি (আওয়ামী লীগ) আর বেশি দিন নেই। তাতে সে রক্ষা পেত,’ বলেন হাফিজ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেক পরিচিত মুখ তামিম ইকবালকেও উপদেশ দিতে ভুল করেননি হাফিজ। মঞ্চে বসে থাকা তামিমের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তোমাকেও বলছি- এই পথ থেকে সাবধান থাকো।’
উল্লেখ্য, মূলত জাতীয়তাবাদী ঘরানার ক্রীড়া সংগঠকদের সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনটি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার দাবি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করল।
এর আগে ১৯ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা মেজর (অব.) হাফিজ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ছবিটি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি সংবাদপত্র মনের মাধুরী মিশিয়ে নানা ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে।
হাফিজ বলেন, সাবেক কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা বিএনএম গঠন করে (দ্বাদশ নির্বাচনের আগে) আমাকে সেখানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানায় এবং তারাই সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আসে। সাকিব আমার কাছে এসে রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা জানায়। কিন্তু আমার কাছ থেকে উৎসাহ না পেয়ে সে চলে যায়। হাফিজের দাবি, তিনি এমন কিছু করেননি যার জন্য লজ্জিত হতে হবে।