তিনদফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চ করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ওপর টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। যার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। অন্তর্বর্তী সরকারকে সাবধান করে দিয়ে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গায়ে যাতে একটা টোকাও না লাগে।
বুধবার রাত ১২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
উমামা তার পোস্টে লিখেন, সাবধান ইন্টেরিম! ছাত্ররা যমুনার আগে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে পুলিশ একবার রমনার দিকের রাস্তার লাইট অফ করে দিয়েছিল। ছাত্ররা চেঁচামেচি করলে আবার লাইট জ্বালায়। ততক্ষণে পুলিশ রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। কাকরাইলের রাস্তায় প্রচুর পুলিশের গাড়ি। পুলিশ বুলেট ভেস্ট পড়ে প্রিপারেশন নিচ্ছে এমনটা ছাত্ররা জানিয়েছে।’
ছাত্রদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে উমামা লিখেছেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্ররা তথ্য দিল, তারা পুলিশকে বন্দুকে বুলেট লোড করতে দেখেছে। ছাত্ররা আতংকিত, হেয়ার রোডে ৫ জন শিক্ষক কথা বলতে গিয়েছিল, তারাও বের হয়ে আসছে। আমি ছাত্র-শিক্ষকের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত শঙ্কিত।’
সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে উমামা লিখেছেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গায়ে যাতে একটা টোকাও না লাগে। মাহফুজ আলম ভাইয়ের গায়ে বোতল ছুঁড়ে মারার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উমামা লিখেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। আমি অনুরোধ করতে চাই, আপনারা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব হিসেবে ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নিন। আপনারা সরকারে থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই জগন্নাথের ছাত্রদের গায়ে একটা টোকাও যাতে না লাগে।’