বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে সার্বিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এবং আগের তুলনায় তার শারীরিক অবস্থা একই পর্যায়ে বজায় রয়েছে।
ডা. জাহিদ হোসেন জানান, গত ২৩ নভেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরবর্তীতে ২৭ নভেম্বর থেকে তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিদিন সকালে দেশীয় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এবং সময়ের ব্যবধান বিবেচনায় সন্ধ্যায় বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিমের যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ডা. জাহিদ বলেন, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। তবে তার বয়সজনিত কারণ এবং দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে তিনি একটি কঠিন সময় পার করছেন।
এ সময় তিনি দেশবাসীর কাছে মহান আল্লাহর দরবারে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বলেও জানান।
এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কারণে হাসপাতালে অন্য রোগীদের চিকিৎসাসেবায় কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এর মধ্যে রয়েছে লিভারসংক্রান্ত জটিলতা, কিডনিসংক্রান্ত জটিলতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও ইনফেকশন–জনিত সমস্যা।
