চব্বিশ সালের অভ্যুত্থান-সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডাদেশকে বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহাসিক বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘জুলুম ও অপশাসনের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি জনগণের ঐতিহাসিক জয়। আমরা এই রায়কে সাধুবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত দমন–পীড়নের ঘটনায় তাদের দায় নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন তারা। শারমিন মন্তব্য করেন, ‘এই রায় প্রপোরশনেট ও ন্যায্য। এখন জরুরি হলো দ্রুত এই রায় কার্যকর করা। একই সঙ্গে ভারত সরকারের উচিত হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার কলঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসা।’
তার ভাষ্য অনুযায়ী, এই রায় ভবিষ্যতের জন্য বার্তা বহন করে যে কোনো ক্ষমতাই চিরস্থায়ী নয়। তিনি বলেন, ‘স্বৈরশাসকেরা মনে করেন তারা অজেয়। কিন্তু এই রায় ভবিষ্যৎ রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচারের একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আদালত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের ঘোষণা দেয়। মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
