English

26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৬, ২০২৫
- Advertisement -

এবারের নির্বাচনে মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন; সমাজকল্যাণ

- Advertisements -

মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা: দীপু মনি এম পি বলেছেন, এবারের নির্বাচনে মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। এই নির্বাচনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, দেশী বিদেশি ষড়যন্ত্র যেন কোনভাবেই সফল না হয়, আমাদের গণতন্ত্র উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, যেন তৃতীয় কোন শক্তির উত্থান না ঘটে, যেন এই দেশে গণতন্ত্র বিপর্যস্ত না হয়।

মন্ত্রী আজ চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এক রাজনৈতিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, তাদেরকে যদি নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন, সরকার গঠন করবেন তা হলে তারা নির্বাচন করবে। তাহলে তাদের নির্বাচনের মানে কি? খেলার মাঠে নামার আগে যদি প্রতিযোগীদের বলে দেয়া হয় যে তুমি খেলায় জিতবা, পুরস্কারটা তুমি পাবা তাহলে এ খেলা দেয়ার মানে, এইটাই পাতানো খেলা।

কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে, নির্বাচনী মাঠে যাবে মানুষের কাছে যাবে, মানুষের মতামত নিবে মানুষ তোমাকে যে রায় দেবে সে রায় তোমাকে মেনে নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, তখন যারা দুর্নীতি করেছে, দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়েছে, যারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যারা শ্রমিক কাজ চাইলে তার উপর নির্যাতন করেছে, সমস্ত কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে, যারা কৃষক সার চাইলে তাকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, মানুষ পানি চাইলে তাদেরকে হত্যা করেছে, বিদ্যুৎ চাইলে হত্যা করেছে, এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারে নাই, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া স্বয়ংসম্পূর্ণ খাদ্য উৎপাদনের দেশকে আবার খাদ্য ঘাটতির দেশ বানিয়েছে।

সেই রকম একটা দুর্নীতিবাজ দু:শাসন, যারা ২০০১ এর নির্বাচনের পর থেকে সারা দেশটাকে একটা সন্ত্রাসীদের, জঙ্গিবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল, যারা বাংলাদেশটাকে একটা হত্যা, ধর্ষণ, মৃত্যু, নির্যাতনের ভয়াল জনপদে পরিণত করেছিল। যে অপশক্তি এই তাদের দুর্নীতি দুশাসন দুষ্কর্ম্মের কারনে ২০০৮ সালের সারা বিশ্বব্যাপী এবং সারা দেশের মানুষ সবচাইতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে যেটা গ্রহণ করেছিল, সেই নির্বাচনে যারা মাত্র ২৯ টি পরে আরও ১ টি সহ ৩০ টি আসন পেয়েছিল। ২০ দলীয় জোট করে ৩০ টি আসন যারা পেয়েছিল।

তারা এর পরে কি করেছে? সরকারে থেকেও দুষ্কর্ম্ম করেছে, বিরোধী দলেও ভালো কিছু করার চেষ্টা করেনি, ২০১৪ সালে বাসে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা করেছে, শ’য়ে শ’য়ে মানুষে হত্যা করেছে, দেশটাকে আবার সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র করার অপচেষ্টা করেছে। তারা ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছে, ৫০০ এর বেশি মানুষ, পুলিশ, বিজিবি সদস্য হত্যা করেছে। বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় তাদের যে দুস্কর্ম, তাদেরকে কি কোন মানুষ ভোট দেবে?

কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ তাদেরকে ভোট দেয়ার কথা না। একমাত্র যারা অন্ধ ভক্ত কোন কারনে বা অন্ধ তাদের অনুসরণকারী তারা দিতে পারে। সাধারণ মানুষ তাদেরকে ভোট দেবেনা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা এরকম হারা হেরেছে , তারপর ২০১৪ সালে দুষ্কর্মের কারনে নির্বাচন করেনি। নির্বাচন প্রতিহত করার নামে মানুষ উপরে অত্যাচার নির্যাতন করেছে।

২০১৮ সালে আবার মনোনয়ন বাণিজ্য করে, ঢাকা থেকে একটা মনোনয়ন দেয়, লন্ডন থেকে আরেকটা মনোনয়ন দেয়, এসব নানান কিছু করে, তারা সেই নির্বাচনেও একেক এলাকায় ৫/৬ জন করে মনোনয়ন দিয়ে রেখেছিল। কাজেই সেই নির্বাচনেও তারা একটা ভরাডুবির মধ্যে পড়েছে। এখন ২০২৩ সালের নির্বাচনে, যখন বুঝেছে একেবারে ভয়াবহ বিপর্যয় তাদের সামনে, তখন তারা নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই, কারন তাদেরকে কেউ ভোট দেবেনা।

কিছু লোকের কাছে আমাদের শুনতে হয়, এই সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদীরা এরা অংশ না নিলে নাকি গণতন্ত্র হয় না। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ তো গণতান্ত্রের অংশ না। মানুষের অধিকারের মধ্যে তো কোন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নাই। যারা মানুষকে ভাত দিতে পারে নাই, ভোটের অধিকার দিতে পারে নাই, বরং ভাতের অধিকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা গত ৪৩ বছর বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য একটানা সংগ্রাম করেছেন। কাজেই মানুষ শেখ হাসিনার সংগে আছে।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/jzre
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন