ইশরাক হোসেন বলেন, যেই আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে এবং গণহত্যার দায়ে বিচার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেই একই আইনের আওতায় ১৯৭১ সালের গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের সঠিক ও কার্যকর বিচার হওয়া জরুরি ছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, এত বছর পরও যখন দেখা যায় ১৯৭১ সালের খুনি-ধর্ষকরা কিংবা তাদের উত্তরসূরিরা নির্লজ্জভাবে বলেন যে পাক হানাদারদের সঙ্গে রাজাকারি করে হত্যা ও ধর্ষণের সিদ্ধান্ত নাকি সঠিক ছিল— তখন বোঝা যায়, আমাদের দুর্ভাগ্যের সীমা কোথায় পৌঁছেছে।
আল্লাহ এদের বিচার করবেন— এই দুনিয়াতে না হোক, পরকালে নিশ্চয় করবেন।
তিনি বলেন, আমরা পিন্ডির দাসত্ব, দিল্লির অনুগত্য কিংবা আমেরিকা, রাশিয়া, চীনের মতো কোনো পরাশক্তির কাছে মাথা নত করব না। এমন কিছু লোক সব সময় থাকবে যারা দালালি পেশায় নিজেদের সুবিধা আদায় করে। এ এক নগ্ন ও ঘৃণ্য বাস্তবতা।
বহির্বিশ্ব তখনই হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়, যখন একটি জাতি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, এই বিভাজন শত বছরেও আসতে দিতাম না— যদি আমরা জাতি হিসেবে আমাদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারতাম। যদিও ছোটভাই নতুন রাজনৈতিক দল এবং তাদের চালক বড়ভাই রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মডেলের কৃতিত্ব ছিনতাই রাজনীতির পথেই হাঁটছে, জনগণ শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল।
লক্ষ ছাত্র ও লক্ষ পরিবার, লক্ষ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার একত্রিত হয়ে হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছিল উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন আরো বলেন, কিন্তু পরবর্তীকালে সেই আন্দোলনের আবেগ ও ত্যাগকে কিছু সমন্বয়কারী, উপদেষ্টা ও এনসিপির নেতা বিক্রি করতে শুরু করেন। এর ফলাফল কী হতে পারে— তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ নিজেই শেখ হাসিনা।