আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু এই অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ সক্রিয় ভূমিকা পালন করা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশন।
তিনি আরও লেখেন, ‘জানিনা এই চেয়ারগুলোতে শহীদ পরিবারের জায়গা হবে কি না! যাদের সাহসিকতা আর নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান আর এই সরকারের কাছে, বছর না পেরোতেই তারা মূল্যহীন। আমার সহযোদ্ধা, যারা মৃত্যুকে পরোয়া না করে হাসিনার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে— তারা এবং সকল শহীদ পরিবার তাদের প্রাপ্য সম্মান না পেলে, আমি আব্দুল হান্নান মাসউদ ব্যক্তিগতভাবে আগামীকালকের জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রোগ্রাম বর্জন করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
এদিকে সোমবার (৪ আগস্ট) রাত দশটার দিকে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ জানান, তারা অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার এখনো শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে তাদের এই উদযাপন আয়োজনের নৈতিক অধিকার আমরা মানি না।’
আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ছাত্র সংগঠনের সাথে কোনো আলোচনা করেনি। এমনকি গত ১ বছরে ছাত্র সংগঠনের সাথে কোনো বৈঠকই করেনি। বরং তারা বৈষম্য বিরোধীদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব আকারে চিহ্নিত করে বাকি ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি অন্যায় করেছে, যা একইসাথে অন্তবর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে। তাই আমরা আগামীকাল যাচ্ছি না।’
ছাত্র ফেডারেশন বলছে, তারা ছিল অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর অন্যতম।