চলচিত্র অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার প্রক্রিয়া “যথাযথ” হয় নাই উল্লেখ করে জাতীয়তাবা্দী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, “আমরা প্রথমেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জানতে চাই ৫ই আগষ্টের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়া ৬২৬ জন আওয়ামী ফ্যাসিষ্টরা এখন কোথায়? পতিত স্বৈরাচার হাসিনার দোসর সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে ভিআইপি প্রটোকলে বিদেশ গমন করতে দেবার পর এখন চুনোপুটি নায়িকাকে বিমানবন্দরে আটক করছে সরকার। আমরা মনে করি, অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার প্রক্রিয়া যথাযথ হয় নাই এবং এই গ্রেফতার জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নেবার কৌশল”।
সোমবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেন তিনি। ববি হাজ্জাজ বলেন, “যেকোন নাগরিককে হত্যার মত গুরতর অভিযোগে গ্রেফতার করার পূর্বে এর স্বপক্ষে প্রাথমিক তদন্তে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে। তবে আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুথানকে কেন্দ্র করে অনেক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা মামলা হয়েছে যার মূল এজেন্ডা ছিলো ব্যক্তিগত আক্রোশ বা দখল বাণিজ্য। এসব মামলা ফ্যাসিষ্ট হাসিনার চালানো নৃশংসতম গণহত্যার প্রকৃত সত্যের সাথে উপহাস”।
ববি হাজ্জাজ বলেন, “একজন চলচিত্র কর্মীর পেশাগত দায়িত্ব পালনকে হত্যার সমতূল্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করলে হাসিনার আমলে র্যাব-পুলিশ বা ডিজিএফআই এর মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোকে মানুষ আর বিশ্বাস করতে চাইবে না। নুসরাত ফারিয়ার আইনি সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচার পাবার অধিকারকে আমরা সম্মান করি তবে সেইসাথে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে একশ্রেণীর পেশাদার সাংষ্কতিক কর্মী গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে বিরোধী দলগুলোর উপর বিদ্বেষ ছড়িয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও করে আগুন সন্ত্রাসের মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে এবং গত জুলাই আন্দোলনে বিটিভি ভবনে যেয়ে মায়াকান্না করেছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই।”
ববি হাজ্জাজ বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমরা চাই সাংষ্কৃতিক কর্মীসহ সব পেশার মানুষ নির্ভয়ে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধে উঠে পেশাগত্ দায়িত্ব পালন করুক। জনমনে এবং আন্তর্জাতিক মহলে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া থেকে সরকারকে বিরত থাকতে আমরা আহবান জানাচ্ছি।