চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় গাজীপুরে সাংবাদিক আনোয়ারের হাত-পা থেঁতলে দেয়া আর তুহিনকে জবাই করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ এবং গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেছেন, এভাবে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য শুভ লক্ষন নয়। জনমনে প্রশ্ন জাগে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা নিয়ে রাষ্ট্রের কি কিছুই করার নেই আসলে?
শুক্রবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘গাজীপুরেই সদর থানার কাছে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের সাথে যে নির্মমতা করেছে সন্ত্রাসীরা, প্রশাসন যদি সেই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিত তাহলে হয়ত সাংবাদিক তুহিনকে এমন নৃশংসভাবে জীবন দিতে হত না। সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে দেশে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কাছে তারা অসহায়।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন গাজীপুরের চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করার অল্প সময় পড়েই চাঁদাবাজ চক্র তাকে নিষ্ঠুরভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে যা সরকারের ব্যরথতাই প্রমান করে। এ ঘটনা থেকে প্রমানিত হয়, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক। যেখানে একজন সাংবাদিকের জীবনের নিরাপত্তা নাই সেখানে সাধারণ জনগনের নিরাপত্তা কোথায়? এই নির্মম হত্যাকান্ড দেশ ও জাতির জন্য একটা অশনি সংকেত।
তারা অবিলম্বে এই ঘটনার নেপথ্য রহস্য উদঘাটন, ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি ও ঘটনার নেপথ্য নায়কদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, হত্যাকান্ডকে আড়াল করতে গিয়ে যাতে হত্যাকান্ডের নেপথ্য গোস্টি যাতে রাজনৈতিক পরিচয়ে বেঁচে না যায় সেই বিষয়ে সরকারকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান।