English

29 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

আক্কেলপুরে হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অ্যাসাইনমেন্টের অযুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

- Advertisements -

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিকট শিখনফল মূল্যায়নের অ্যাসাইনমেন্ট ফি গ্রহণের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সেই সাথে মাসিক বেতন, বিদ্যুৎবিল, স্কাউট ফি, শেসন ফি সহ বিভিন্ন অজুহাতে উত্তোলন হচ্ছে এসব টাকা। করোনা মহামারির বিস্তার রোধে সরকার সারাদেশে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা বন্ধ ঘোষনা করে। প্রায় আট মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অ্যাসাইনমেন্টের শিখনফল মূল্যায়নের জন্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের উপর পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তোলনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পুরো বেতন ৫ শত পঞ্চাশ থেকে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিনা রশিদে আদায় করেছেন। বিশেষ করে উপজেলার সোনামুখি উচ্চ বিদ্যালয়, কানুপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও গণিপুর জাফরপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অর্থ আদায় করছেন। এতে করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইচ্ছা মতো মাসিক বেতন, বিদ্যুৎ বিল, স্কাউট ফি, সেশন ফিসহ বিভিন্ন অযুহাতে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন স্কুল প্রধান ও শিক্ষকরা।
এদিকে কাঠাঁলবাড়ী আর.কে.এম দাখিল মাদরাসায় শেসন ফি ৫ শত, অ্যাসাইনমেন্ট ফি ১ শত বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ১ শত টাকাসহ মোট ৭ শত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ ব্যাপারে সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক রমজান আলী বলেন, ‘আমার ছেলে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। স্কুল বন্ধ তারপরও শিক্ষকরা পরীক্ষার ফি ও বেতনের জন্য ছেলেকে চাপ দিচ্ছে। ছেলের লেখা পড়ার জন্য টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছি’।
নাম না প্রকাশ শর্তে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা মাত্র আড়াই মাস স্কুল করেছে। প্রায় ৮ মাস স্কুল বন্ধ থাকলেও সাড়া বছরের বেতন, স্কাউট ফি, বিদ্যুৎ বিল, সেশন ফি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যালয় থেকে কোন প্রকার রশিদ দেওয়া হচ্ছে না’।
এ বিষয়ে কানুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা টাকা না দিলে স্কুল চালাবো ক্যামনে। প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অর্ধেক বেতন নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে’।
সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সেশন ফি নিচ্ছি। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য ফি অর্ধেক নেওয়া হচ্ছে। তবে অ্যাসাইনমেন্টের নামে কোন অর্থ আদায় করছি না’।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মকবুল হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ডেকে নিয়ে সভা করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতে কোন প্রকার অর্থ আদায় না করবার নির্দেশনা প্রদান করেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘যে সকল প্রতিষ্ঠান অর্থ আদায় করছেন তাদের চলমান করোনা মহামারিতে অর্থ আদায় না করার জন্য সর্তক করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন