ঠাকুরগাঁওয়ে টানা বৃষ্টির কারণে বেড়েছে নদ নদীর পানি। ফলে নদীর ধারে বসবাসরত প্রায় ৭০০ পরিবারের ঘর বাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষগুলো পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকে ঠাঁই নিয়েছেন পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই সামান্য।
প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন, সুক ও সেনুয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নদীর ধারে বসবাসরত প্রায় ৩০০ পরিবারসহ সদর উপজেলায় মোট ৭০০ পরিবারের ঘর বাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। বাড়িতে পানি ওঠার কারণে অনেকে সহায় সম্বল ও গবাদি পশু নিয়ে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
পৌর শহরের টাঙ্গন নদীর ধার জলেশ্বরীতলা এলাকার মোহাম্মদ সুমন জানান, বাড়ি ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় বাড়ির গরু-ছাগল পার্শ্ববর্তী গোবিন্দনগর গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় রেখে এসেছেন। কাজে যেতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে রয়েছেন।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর দ্রৌপদি আগারওয়ালা জানান, জলাবদ্ধ পরিবারগুলোকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে। মূলত নদীর পানিতে তাদের বাড়ি ঘর প্লাবিত হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য কিছু ড্রেন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, টানা বর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নদীপাড়ের বেশ কিছু বাড়িঘর ডুবে গেছে। এরমধ্যে পানিবন্দি বেশ কিছু পরিবারকে স্থানীয় জেলা শিল্পকলা একাডেমির আশ্রয় কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় রবিবার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ৭০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল এবং শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/zrop
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন