English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

সূর্যের দেখা নেই, তীব্র শীতে জবুথবু উত্তরাঞ্চল: থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন

- Advertisements -

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কয়েকদিন থেকে সারাদিন সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় শীতের মাত্রা বেড়েছে অনেক। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে জনজীবন অনেকটা থমকে দাঁড়িয়েছে। এতে সবথেকে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের মানুষ। একই অবস্থা উত্তরের বিভিন্ন জেলাগুলোতেও।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা রীতিমতো অন্ধকারে পরিণত হচ্ছে। কয়েক হাত দূরের বস্তুও ঝাপসা। ভোর বেলা লাল আভা নিয়ে ভেসে উঠা সূর্য যেন মুখ মেলে তাকাতে পারছে না।
গত শুক্রবার সকাল থেকে হঠাৎ করে ঘনো কুয়াশায় ঢেকে যায় এবং তাপমাত্রা নেমে আসে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। যানবাহনগুলো দিরে বেলা সড়কে হেড লাইট জালিয়ে চলাচল করছে।
খুব সকালে খেটে খাওয়া মানুষেরা জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
হঠাৎ এই শীতে সাধারণ মানুষ যেন জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। একদিকে করোনার থাবায় অর্থনৈতিক সঙ্কট তার উপর প্রচন্ড শীত। শীত নিবারণের জন্য লেপ তোষকের দোকানে ভিড় করছেন মানুষ। কৃষকেরা চেষ্টা করছেন তাদের গরু-ছাগলকে চটের তৈরী জামা দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা করতে।
শীত বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে পিঠার কদর। সকাল সন্ধ্যা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাপা-চিতইসহ হরেক রকম পিঠার পসরা নিয়ে বসছেন নারী ও পুরুষেরা। উনুনের তাপ নেয়ার পাশাপাশি পিঠাও খাচ্ছেন তারা।
ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হওয়া যেন শীতের মাত্রা আরও বৃদ্ধি করে, কুয়াশা ও শিশির কণা শীতকে আরো স্থায়ী করে রাখছে। সকালে থেকে সারাদিন মোটা কাপড় পরে থাকতে হচ্ছে। বাড়ছে শীতের রোগ।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যেই দুস্থ্য ও অসহায়দের জন্য কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রশাসনও সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছেন। কেননা শীতে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন