মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌর সদর এলাকার মহাসড়কে যত্রতত্র গণপরিবহন দাঁড়িয়ে থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃংখলা। ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে যাত্রীরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নীরব। জনজীবনে বাড়ছে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ।
মীরসরাই উপজেলার বারবইয়াহাট টু চট্টগ্রাম গণপরিবহনের জন্য বারইয়হাটে বাস টার্মিনাল নির্ধারিত থাকা স্বত্বে ও মহাসড়কের মধ্যখানে পার্কিং করছেন চালকরা।
স্থানীয় উত্তরা ও চয়েস বাস পর্যন্ত মহাসড়কের মধ্যখানে দাড়িয়ে যাত্রী তুলে সৃষ্টি করছে জনভোগান্তি। বারইয়াহাটের পুরাতন মহাসড়কের সাথে ঢাকা চট্টগ্রাম ফোর লেন এর মধ্যবর্তি ক্রসিং চার লেন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হয়। কিন্তু সেখানেই যাত্রী তুলতে মহাসড়কের মধ্যবর্তি লেনেই দাঁড়িয়ে থাকে স্থানীয় চট্টগ্রাম মুখি ‘উত্তরা’ বাস। আবার এর পাশেই পূর্বপাশ্বে থাকে ‘চয়েস’ বাস। উত্তরা বাসগুলো সেখানে দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে থাকার দরুন পথচারি যাত্রীদের পারাপারের সময় উত্তরা বাসের আড়ালে কোন বাস ট্রাক আসছে কিনা তা আর দেখতে পায় না। এতে অনেক সময় দ্রুতগামী গাড়ির নিচে পড়তে হয় অনেক পথচারিকে।
গত কয়েক বছরে অন্তঃত ১০ জন এখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হতাহত ও হয়েছে। অথচ এর পাশ্ববর্তি স্থানের ট্রাফিক মোড়ে পুলিশের সার্জেন্ট এর সার্বক্ষনিক থাকা অনেককেই থাকতে দেখা যায় নিয়মিত। দুর্ঘটনা ঘটলে দু-চারদিন তৎপর থেকে এরপর ফিরে পূর্বের অবস্থায় এমনটাই দেখা যায় বছরের পর বছর। অথচ বারইয়াহাট থেকে ফেনীমুখি আনন্দ পরিবহনসহ চট্টগ্রাম মুখী উত্তরা ও চয়েস পরিবহনের জন্য সেখানে বারইয়াহাট পৌরসভার উদ্যোগে একটি টার্মিনাল ও করা হয়েছে। টার্মিনালটি সবসময় ফাঁকা থাকতেই দেখা যায়।
উপরন্তু মহাসড়কের উপরেই যত্রতত্র লাইন ধরে সকল বাস পার্কিংসহ যাত্রী উঠানামা করা হয়। মহাসড়কের সর্বদক্ষিণ প্রান্তে নির্ধারিত স্টান্ডসহ দুই দিকের যাত্রীদের জন্য প্রসস্ত স্থান রাখা স্বত্বে ও সেখানে স্টপেজ করছে বাসগুলো। এ বিষয়ে উক্ত বারইয়ারহাট মহাসড়ক ট্রাফিক বঙে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ইব্রাহিম খলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মহাসড়কে সব সময় শৃংখলা রক্ষায়।
ইতিমধ্যে আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সবকিছু নিয়ম মতো হবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন