লকডাউন অমান্য করে আসা কোনো যানবাহনকে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার না করতে সেতু কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি।
এ ছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে সরকারি বিধিনিষেধের বাইরে কোনো গণপরিবহন যাতে না চলাচল করে সে বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে সেনা সদস্যরা। এছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১১৩টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে।
জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে ২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারের আটশ’ সদস্য মাঠে রয়েছেন।
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ইসতিয়াক বলেন, ‘গত বছর ৮ মাস করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি। এ বছরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং সেনাপ্রধানের তত্বাবধানের মাঠে রয়েছি। লকডাউন সফল করতে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। কেউ লকডাউন অনমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, ‘লকডাউন অমান্য করে কেউ যেন টাঙ্গাইলে প্রবেশ না করতে পারে- সে লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।’