কপোতাক্ষের পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) খেঁয়াঘাটের বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সাঁকো পারাপারে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটলেও হুশ হচ্ছে না কর্তৃপক্ষের। তালার জালালপুর ও পাইকগাছা তালাসহ বিস্তীর্ণ জনপদের হাজার হাজার মানুষের নদী পারাপার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোটি দিয়ে পার হতে হয় নদী।
ভূক্তভোগীরা জানান, সাঁকোর খন্ড খন্ড চরাটগুলির কোনটাই এখন আর নিরাপদ নয়। বাঁধন না থাকায় তার উপর পা দিলেই রয়েছে গড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি। নেই ন্যুনতম কোন গার্ডার। এতে করে চলতি শীত মৌসুমে সন্ধ্যা নামতেই কুয়াশার প্রলেপ সাঁকোর পাটাতনগুলিকে পিছিল করে দেয়। এমন অবস্থায় সাঁকো দিয়ে মানুষ পারাপারে কোন রকম অসাবধানতায় পা সরে মালামালসহ পড়তে হয় পানিতে। এতে কোন রকম প্রাণ বেঁচে গেলেও শীতে ভেঁজা কাপড় ও সাথে থাকা মালামালসহ মূল্যবান জিনিষপত্র নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
ভূক্তভোগীরা আরো জানান, কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) খেঁয়াঘাট বরাবরই যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হয়। এনিয়ে ঘাঁট মালিক-যাত্রীদের মধ্য প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। তবে টোল বেশি নিলেও সেখান সেবার মান ক্রমশ তলাণিতে ঠেকেছে। বরং জীবনর ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় সাঁকোটি।
ভূক্তভোগী এলাকাবাসী এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয় পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন আমি পুরাতন নির্মাণাধীন কপিলমুনি বাজার সংলগ্ন নদীতে পিলার দেখেছি ঐ এলাকার মানুষদের কষ্ট লাঘব হবে তাড়া তাড়ি।
খুলনা ৬ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন যে কানাইদিয়া কপিলমুনির সেতুর খুবই গুরুত্ব তবে একটাই হবে আর সেটা কপিলমুনিতে,এ বিষয় সচিব পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হয়েছে। সাতক্ষীরার তালা কলোরোয়ার সংসদ সদস্য মোঃ মোস্তফা লুৎফুল্ল্যাহ বলেন দীর্ঘ দিনের জনগনের চাওয়া কপোতাক্ষ সেতু নির্মানে আমরা দু জন এমপি একমত অতি তাড়াতাড়ি সেতুর নতুন ডিজাইনে কাজ শুরু হবে।