English

31 C
Dhaka
শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
- Advertisement -

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বাড়ছে

- Advertisements -

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ক্রমেই লাশের সংখ্যা বাড়ছে। মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি থেকে সিলেট শহরের হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।এই মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করছেন এখানকার যাত্রীরা। আউশকান্দি থেকে হুমায়ুন রশিদ চত্বর পর্যন্ত প্রায় ৫২ কি. মি. মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩৪ কিলোমিটার অংশ আশুগঞ্জ, সরাইল ও বিজয়নগর উপজেলা সবচেয়ে বেশি দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়ে থাকে।
মূলত চালকদের অদক্ষতা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা এবং তিন চাকার যানের অবাধ বিচরণের কারণেই রোধ করা যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। এর ফলে মহাসড়কে থামছেনা লাশের মিছিল। তাই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে মহাসড়কটিকে নিরাপদ করে তোলার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহাসড়কের ওসমানীনগরে সাদিপুরের ভাঙ্গা নামক স্থানে বাসচাপায় মদরাসার ছাত্রীসহ ৬ জন নিহত হন। এর আগে বুধবার ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে দুই মোটরসাইলে আরোহীকে চাপা দিলে মো. মুজিব (১৮) নামে এক যুবক মারা যান। এ সময় আহত হন আব্দুস সালাম।শুধু আগস্ট মাসেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি পানিউমদা বাজার থেকে সিলেট হুমায়ুন রশীদ চত্বর পর্যন্ত সড়কের খানাখন্দ সৃষ্টি। বড় বড় গর্তের কারণে রং সাইডে গিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে গাড়ি চলাচল, অযোগ্য চালক দিয়ে দূরপাল্লার বাস চালানো, ওভারলোডিং ও ওভারটেকিং, জনবহুল এলাকাসহ দূরপাল্লার সড়কে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করা, দীর্ঘক্ষণ বিরামহীন গাড়িও চালানো,মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার গাড়ি চলাচলকরাসহ ট্রাফিক আইন না মেনে চলার কারণে এসব ঘটনা নিত্যদিন ঘটছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রায় প্রতিদিনই অকালে ঝরে পড়ছে তরতাজা প্রাণ।
এদিকে মহাসড়ককে তিন চাকার যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে হাইর্কোট থেকে রুল জারি করা হয়েছে অনেক আগেই,কিন্তু মহাসড়কে অবাধে চলছে এই তিন চাকার যানগুলো।যার ফলে দুরর্ঘটনা বেড়েছে অনেকাংশে।পুলিশকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কে চলাচল করছে এই সব যানবাহন বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. এরশাদুল ভূইয়া বলেন, মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব কিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জরিমানা করতে হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত লাগবে। সে ক্ষমতা আমাদের নেই।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন