English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
- Advertisement -

দিনাজপুরের দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বহমান আত্রাই নদী: সেতুর অভাবে পারাপারে দুর্ভোগ

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

দিনাজপুরের দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বহমান আত্রাই নদী। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি সেতু, যা আজও হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বার বার সম্ভাব্য স্থানে মাপ-যোগ নিলেও আর কোনো অগ্রগতি আজও হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।
দিনাজপুর সদর এবং চিরিরবন্দর উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীতে বর্ষকালে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়দের সমন্বয়ে গড়া বাঁশের সাঁকোই হয় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম। সদরের বুড়ির হাট-চিরিরবন্দরের সাইতাড়ার মাঝে নদীর ঘাটের আশপাশের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি বর্ষায় যেমন, শুষ্ক মৌসুমেও তেমন। কাটছে না তাদের এ ভোগান্তি। অনেকে আশ্বাস দিলেও আজও কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানান স্থানীয়রা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভারী যানবাহন, মাইক্রোবাস না চললেও শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনে অটোচার্জার বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়। যদিও নৌকা দিয়েও অনেকে সাইকেল-মোটরসাইকেল নিয়ে পার হয়।
দবিরুল ইসলামসহ অনেকে জানান, নদীর ঘাটের পাশে বসে ‘বুড়ির হাট’। নদীর দুইপাড়ের হাজার হাজার মানুষ এই হাটে কেনাবেচা করে। এছাড়াও নদীর দুই পাড়ের রানীগঞ্জসহ কয়েকটি হাট-বাজার বসে। এই বুড়ির হাটের পাশে নদীর ঘাট ব্যবহার করে দিনাজপুর সদরের হরিরামপুর, ঝানঝিরা, পূর্ববীরগাঁ, পারগাঁ, মাধবপুর, রানীগঞ্জ, চাদগঞ্জসহ ১০ গ্রাম এবং ওপারের চিরিরবন্দর উপজেলার খোচনা, শংকরপুর, ওকরাবাড়ী, সাইতাড়া, ঘণ্টাঘর, বারলবাজারসহ ১০ গ্রামের মানুষ এই নদীর এই ঘাট ব্যবহার করেন।
এছাড়াও এই ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয় পার্বতীপুর উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ। উভয় দিকের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগের শিকারও হয় আবার বাজার মূল্য না পাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
দিন্জাপুরের ফাজিলপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার হবিবর রহমান জানান, প্রতিদিন বর্ষার সময় নৌকা কিংবা শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এখন নদীতে পানি ভরাট রয়েছে তাই গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও অসুস্থ রোগীদের পারাপার করা যেমন ভীতিকর তেমনি খুব কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ। এসব অঞ্চলের জীবনযাত্রার মান পাল্টাতে হলে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে অবশ্যই এখানে একটি সেতুর জরুরি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমিসহ ইউপি পরিষদ এলজিইডিকে জানিয়েছে এখানে একটি সেতুর করার জন্য। তিনি আরও জানান, ওইসব বিভাগ থেকে কয়েকবার এসে সয়েল টেস্ট, মাপ-যোগ করে নিয়ে গেলেও আর কোনো অগ্রগতি নাই।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন