English

36 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

পরিবহণ শ্রমিকদের আন্দোলনে ক্ষুব্দ সিলেট: ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে জনভোগান্তি

- Advertisements -

দ্বিতীয় দিনের মতো সিলেটে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। ধর্মঘটের কারণে নাগরিক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় অফিসগামী যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যান চলাচল, বিপণিবিতানগুলোতেও ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে।
বন্ধ পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেটে মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন দিনের ধর্মঘট শুরু করেছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ। তাদের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও মোড়ে মোড়ে পরিবহন শ্রমিকদের লাঠি হাতে রাস্তায় থাকতে দেখা গেছে। এতে করে নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও লক্ষ্য করা গেছে।
পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া- এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরআগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বেলা)-এর দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সবধরনের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত।
সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। এবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশ করার পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন তারা।
সিলেটের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন,চলমান এ ধর্মঘটে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করার বিষয়টি ‘সিন্ডিকেট আন্দোলন’। একই সাথে আন্দোলনের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করা হচ্ছে।
আর বাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, বাস মালিক সমিতি ধর্মঘটে নেই। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় বাসগুলো চলাচল করতে পারছে না।
সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, বাস মালিক সমিতি পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে নেই। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় আমরা বাস চালাতে পারছি না।
সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার বলেন, আমাদের নির্ধারিত আন্দোলন চলবে। কারণ আমরা সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে নড়ছি না। আর জেলা প্রশাসক আমাদেরকে উনার সীমাবদ্ধতার জায়গা দেখিয়েছেন। সেজন্য আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় আছি। আমরা চাইছি প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে কোনো নির্দেশনা দিন। এজন্য আমরা পরিবহন ধমর্ঘটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নজরে বিষয়টি দিতে চাইছি।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। চলবে ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। ধর্মঘটে সিলেট বিভাগের তিন জেলায় বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কোচ, লেগুনা, ট্যাংকলরি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশগামী যাত্রী, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্র ও জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়ি ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন