English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
- Advertisement -

বগুড়ার নন্দীগ্রামে রাস্তা খুঁড়ে রেখে লাপাত্তা ঠিকাদার, চরম দুর্ভোগে মানুষ

- Advertisements -

মোঃআব্দুল গফুর: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজার হইতে সিংড়া উপজেলার মাসিন্দা পাকার মাথা ১৮০০ মিটার কাঁচা সড়কের মধ্যে ১২০০ মিটার পাকা করণ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন।

আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ওই কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে। উদ্বোধনের প্রায় ৮-৯মাস পর রাস্তার মাঝখানের মাটি খুঁড়ে অল্প কিছু বালু ফেলে রেখে লাপাত্তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার অংশ এভাবে ফেলে রাখায় দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ১২০০ মিটার রাস্তার জন্য নন্দীগ্রাম-রণবাঘা হয়ে প্রায় ২২ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যানবাহন নিয়ে আসতে হয় এ এলাকার মানুষের। জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা কেউ ভাবছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আইআরআইডিপি-৩ এর আওতায় নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের দাসগ্রাম বাজার হইতে সিংড়া উপজেলার মাসিন্দা পাকারমাথা ১৮০০ মিটার কাঁচা রাস্তার মধ্যে ১২০০ মিটার পাকা করার কাজ শুরু হয়। এ জন্য ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ২০৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মেসার্স ছন্দা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি শুরু করে। ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও বেড খুঁড়ে অল্প কিছু বালু ফেলে রাখা ছাড়া কোন অগ্রতি দেখা যায়নি ওই কাজের।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মাঝখানে প্রায় ১০ ফুট চওড়া ও ২ ফুট গভীর করে মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। খুঁড়ে রাখা সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে দিয়েই ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন ঠেলে ঠেলে পার করতে হচ্ছে মানুষের।

শালুকাপাড়া জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও দাসগ্রাম আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বলেন, এ রাস্তার বাপ-মা নাই। তাইতো রাস্তাটি খুঁড়ে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা। রাস্তায় হাঁটুসমান কাদা জমে গেছে। এই কাদার কারণে ধান বিক্রির জন্য ১০ টাকার ভাড়া দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। রাস্তার কাজ করতে পারবে না, তাহলে খুঁড়ে রাখল কেন?

ইউপি সদস্য শংকর কুমার সরকার বলেন, দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মানুষ সবসময় আমার কাছে এ রাস্তার অভিযোগ করছেন।

জানতে চাইলে, ঠিকাদারের প্রতিনিধি পুটুল বলেন, জিনিস পত্রের দাম বেশির কারণে কাজ করতে পারিনি। তবে কাজ করবো।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ বলেন, আবহাওয়ার কারণে কাজ বিলম্বিত হয়েছে। তবে খুঁড়ে রাখা সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।

সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন দেশের বাহিরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন