English

30.8 C
Dhaka
শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫
- Advertisement -

সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ সংস্কারের উদ্যোগ

- Advertisements -

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার হবে সুরমা নদীর উপর নির্মিত ৮৭ বছরের পুরনো এই সেতু। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নিয়ন্ত্রণাধীন এই সেতুটি সংস্কার করবে রেলওয়ে বিভাগ।সেতু সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

১৯৩৩ সালে নির্মিত হয় ১ হাজার ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৮ ফুট প্রস্থের কিনব্রিজ। এটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৯৩৬ সালে। ভারতের আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কিনের নামেই কিনব্রিজ হিসেবে নামকরণ করা হয়।
বিভিন্ন সময় সুরমা নদীর উপর এই সেতুর সৌন্দর্যবর্ধন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে সেতুটি আরও নড়বড়ে ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

কিনব্রিজ সংস্কারের বিষয়ে গত বছর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়। সেখানে সেতুটির সংস্কারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সওজের পক্ষ থেকে সেতুটি সংস্কারে মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়। গত মাসে এই টাকা বরাদ্দ পেয়েছে সওজ সিলেট অফিস। এ সপ্তাহেই তা রেলপথ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।

সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিনব্রিজ যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটির বড়ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। এই সেতু সংস্কারের জন্য আমরা প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম। ২ কোটি ৮১ লাখ টাকার মতো বরাদ্দ পেয়েছি।
তিনি জানান, বিগত দিনে কিনব্রিজের সংস্কার কাজ রেলওয়ে বিভাগ করেছে। এবারও তারা কাজ করবে। বরাদ্দ পাওয়া টাকা এ সপ্তাহেই রেলওয়েকে হস্তান্তর করা হবে। তারা দ্রুততম সময়ে সংস্কার কাজ শুরু হবে।

কিনব্রিজকে ঘিরে বিকল্প পরিকল্পনা করেছিলো সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া এই সেতু দিয়ে সবধরনের যানচলাচল বন্ধ করে পদচারী সেতুতে পরিণত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো।সিসিকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, এটি হবে দেশের দীর্ঘতম পদচারী সেতু। এই উদোগের অংশ হিসেবে সেতুর দুই পাশে লোহার বেষ্টনী লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। তবে স্থানীয়দের আপত্তির মুখে সেই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়। এসময় সিসিকের পক্ষ থেকে কিনব্রিজ সংস্কারের কথা বলা হলেও কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। দীর্ঘ সংস্কারহীনতায় পুরো সেতুজুড়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দের। এতে যান চলাচলে দেখা দেয় ঝুঁকি। সম্প্রতি পিচ ঢেলে খানাখন্দ ভরাট করলেও জরাজীর্ণ এই সেতুতে যান চলাচলে ঝুঁকি কমেনি।

The short URL of the present article is: https://www.nirapadnews.com/egp2
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন