সম্প্রতি সিলেটে নগরীর চৌহাট্টায় সিসিক ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্ত কার্যকর না করায় ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে তারা এই আল্টিমেটাম দেন।
এ সময় তারা জানান- ১৩ই মার্চের মধ্যে তিন দফা দাবি মেনে না নিলে ১৪ই মার্চ রোববার ভোর ৬ টা থেকে সিলেট জেলার পরিবহন শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করবেন। পরিবহন শ্রমিকদের ঘোষিত ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- কোতোয়ালি থানায় শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দের উপর দায়ের করা মিথ্যা মামলাদ্বয় প্রত্যাহার, ভাংচুরকৃত গাড়ির ক্ষতিপূরণ ও আটককৃত গাড়ি ফেরত দেওয়া ও গাড়ি রাখার জন্য স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা।
সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ময়নুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মুহিম পুলিশ কমিশনারের কাছে পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে এ স্মারকলিপি পেশ করেন। স্মারকলিপিতে তারা জানান- চৌহাট্টার ঘটনার প্রেক্ষিতে মোল্লারগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখন মিয়া, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন, বন্দরবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আতিক মিয়া ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুলের আহ্বানে গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাতে সিটি কর্পোরেশনে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সহ কাউন্সিলররা, মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনার পর ১৭ই ফেব্রুয়ারি সৃষ্ট ঘটনায় ভাংচুরকৃত গাড়ি সমূহের ক্ষতিপূরণ প্রদান, আটককৃত গাড়ি ফেরত ও মামলা প্রত্যাহার করতে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখনো সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। স্মারকলিপিতে তারা জানান- এ নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে সভাপতি ময়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে সিলেট জেলার ৬টি রেজিস্টার্ড সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই প্রতিবাদ সভায় সৃষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে ৩ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম সহ কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। স্মারকলিপিতে এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।