English

33 C
Dhaka
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
- Advertisement -

সিলেটে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু: বিপাকে সাধারন মানুষ

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

সিলেটে বন্ধ পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন দিনের ধর্মঘট শুরু করেছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ। তাদের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।
সিলেটের সাথে সারাদেশের দূরপাল্লার গাড়ির সাথে সাথে চলাচল বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহনের। হঠাৎ গাড়ি বন্ধের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে পরিবহণ ধর্মঘট উপলক্ষে শ্রমিকরা ভোর থেকেই সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন। কোন গাড়ি এলেই বাঁধা দেয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। আর হঠাৎ করে পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওযায় বিপাকে পড়েছেন দুর-দুরান্তের যাত্রীরা।
তারা বলছেন, জনসাধারণকে জিম্মি করে অযৌক্তিক দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে পরিবহন শ্রমিকরা। দ্রুত এমন কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিও তাদের।
ধর্মঘট আহ্বানকারীরা বলছেন, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় সিলেটের ট্রাক মালিকরা গভীর সঙ্কটে পড়েছেন। এছাড়া জাফলং ও গোয়াইনঘাট সড়কে বাস-অটোরিকশার যাত্রীও অনেক কমে গেছে। ফলে সকলেই ক্ষুব্ধ। তাই পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে সকল পরিবহনের শ্রমিক-মালিকরা সম্পৃক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে তিনদিন সিলেটে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকবে।
এই সুযোগে সিলেটে রিকশাগুলোও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। একই অবস্থা রাইড শেয়ারভিত্তিক অ্যাপস কোম্পানি পাঠাও-উবারেরও।ফলে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তির মধ্যে।
সোমবার পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে বিকেলে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। বৈঠকে জেলা প্রশাসক ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও পরিবহন নেতারা তা মানেনি।
এদিকে, সিএনজি অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজনে পুলিশের নির্দেশনা প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবিতে সিলেটে সোমবার থেকে ধর্মঘট পালন করছে অটোরিকশা শ্রমিকরা। ধর্মঘটের কারণে সোমবার সিলেটে বন্ধ ছিলো অটোরিকশা চলাচল। এই ধর্মঘট চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
টানা এই ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন সিলেটের যাত্রীরা। সোমবার অটোরিকশা ধর্মঘটের কারণে নগরের ভেতরে ও নগরের আশপাশের এলাকায় চলাচলকারী যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া- এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়। এরআগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বেলা)-এর দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরণের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত।
সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। এবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশ করার পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন তারা।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন