যার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত ঐ অঞ্চলের ছয় গ্রামের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মুকুন্দি গ্রামে ব্রিজটি নির্মিত হয় অন্তত ৩০ বছর আগে। ২০১৫ সালে ব্রিজটিতে প্রথম ভাঙ্গন দেখা দেয়। তারপর থেকর যতই দিন যাচ্ছে ব্রিজটিরও বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছে। ব্রিজের উপরের দুটি অংশে ভেঙ্গে পড়েছে। ফাটল ধরেছে পিলারে। এছাড়া ভেঙ্গে গেছে দুই পাশের রেলিং।
অথচ জন-গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে দৌলতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাউয়াদি, ভবানীপুর, তুলাতলী, সাধারদিয়া ও মুকন্দীসহ ছয় গ্রামের অন্তত কয়েক হাজার বাসিন্দাদের যাতায়াত ও স্কুল, মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্ডেনের শত শত শিক্ষার্থী নিয়মিত চলাচল করে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ব্রিজটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এতে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে প্রাণহানির মত ঘটনাও।
সবহন গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, এই এলাকার মানুষের জন্য ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাঙ্গা ব্রিজের উপর কাঠ বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা হচ্ছে। এখানে নতুন ব্রিজ দ্রুত প্রয়োজন।
মাওলানা আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাইমারি, হাইস্কুল ও মাদ্রাসার প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। কোমলমতি শিশু প্রতিদিন এ ব্রিজ ব্যবহার করে। আমরা সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি। কখন জানি দুর্ঘটনা ঘটে।
মুকুন্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. মোশারফ পাটোয়ারী বলেন, ব্রিজ দিয়ে কৃষকরা ঝুঁকি নিয়ে বাজারে যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে ব্রিজটি দিয়ে হাঁটাও কষ্টসাধ্য।
ভবানীপুর গ্রামের আসাদ মিয়া বলেন, প্রতিনিয়তই এ ব্রিজে মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। তাই দ্রুত ব্রিজটি পুনরায় নির্মাণ জরুরি।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ব্রিজটি সম্পর্কে জেনেছি। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজটি পুনরায় নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।