English

31 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
- Advertisement -

আকাশপথে দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হলে ক্ষতিপূরণ বাড়বে ছয় গুণ

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

আকাশপথে পরিবহনের সময় দুর্ঘটনায় যাত্রী আহত বা নিহত হলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আগামী দিনে ছয় গুণ বাড়বে। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল ২০২০’ পাসের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, শেখ তন্ময়, সৈয়দা রুবিনা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী জানান, বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদের আগামী অধিবেশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া বৈঠকে করোনাকালে পর্যটন করপোরেশনের অধীনে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে এমন কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে আকাশপথে যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাত এবং ব্যাগেজ ও কার্গোর ক্ষতি বা হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের হার আগের চেয়ে বাড়বে। আগে মৃত্যু বা আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারিত ছিল আড়াই লাখ ফ্রাংক বা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা। বিলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৪ ডলার বা এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা। নতুন আইনে ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারীর দায় ২০ ডলারের পরিবর্তে পাঁচ হাজার ৭৩৪ ডলার, ব্যাগেজ বিনষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে এক হাজার ৩৮১ ডলার এবং কার্গো উড়োজাহাজের মালপত্র বিনষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে ২৪ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন আইনের বিধানের ভিত্তিতে যাত্রীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাঁর বৈধ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা ভাগ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজ পক্ষ বা বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অথবা আদালতের মাধ্যমে এই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন