English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে ফেসবুক-ইউটিউবকে আইনি নোটিশ

- Advertisements -

উসকানিমূলক ও জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে এমন ভুয়া সংবাদ ও ভিডিও সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক ও ইউটিউবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান।

ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি বিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বেশ কয়েকজনকে উল্লেখ করে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ও জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ এবং ৪৪ ধারার লঙ্ঘন।

বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭এ-এর ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ৮, ১৩, ১৬,২৫ ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম এবং জজকোর্টের ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন আরাফাত হোসেন খান।

নোটিশে আরো বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বাংলাদেশেরও।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা এবং দেশে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হচ্ছে।

আইনি নোটিশে আরো বলা হয়, করোনাপরবর্তী সময়ে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। পশ্চিমা দেশসহ বেশ কিছু দেশ মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব সমস্যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির মতো সমস্যায় জর্জরিত। সারা বিশ্বেই এখন অস্থিরতা তৈরিতে ফেসবুক ও ইউটিউবকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গুজব ও ভুয়া খবর।

নোটিশে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএর স্পষ্ট নীতি ও ফেসবুক-ইউটিবের সাম্প্রতিক  রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থী।

ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান বলেছেন, ‘ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াগুলো অবশ্যই আমাদের বাকস্বাধীনতা চর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে; কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, বাকস্বাধীনতার চর্চার নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আমরা যেন সহিংসতা এবং নাশকতাকে উৎসাহিত না করি। ’

এ বিষয়ে অবশ্যই বিটিআরসি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সকল কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আরো সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন