মানসিক চাপ কমে
আমাদের ফোনে সব সময় নোটিফিকেশন, খবরের আপডেট, কাজের তথ্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট আসে, যা উদ্বেগ ও মানসিক ক্লান্তি বাড়ায়। ফোন থেকে বিরতি নেওয়া মানসিক শান্তির একটি আশ্চর্যজনক অনুভূতি দিতে পারে। সব সময় আপডেটের চাপ না থাকায় মস্তিষ্ক সহজে বিশ্রাম নিতে পারে। ফলে চাপ ও উদ্বেগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ঘুমের মান উন্নত হয়
রাতে ফোন ব্যবহারের ফলে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে। কারণ, স্ক্রিনের নীল আলো প্রাকৃতিক ঘুমের চক্রকে বাধাগ্রস্ত করে। এক মাস ফোন না ব্যবহার করলে সহজে ঘুমানো, গভীর ঘুম এবং সতেজভাবে সকালে জেগে ওঠা সম্ভব হতে পারে। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ সাইকেল রিসেট করার সহজ উপায়।
এ ছাড়া ঘুমের ধরন উন্নত করতেও সাহায্য করে।
চোখ ভালো হয়
অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম চোখের ক্লান্তি সৃষ্টি করে, যা ‘স্মার্টফোন ভিশন সিনড্রোম’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে চোখ শুষ্ক হওয়া, জ্বালা ও ফোলা অন্তর্ভুক্ত। ফোন থেকে বিরতি নিলে চোখ প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায়। দীর্ঘমেয়াদে চোখের ক্লান্তি কমে এবং ভিশন সুরক্ষিত থাকে।
শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়
ফোন হাতে না থাকায় আপনি আরো শারীরিক ক্রিয়াকলাপে যুক্ত হতে পারেন। সেটা হাঁটাহাঁটি হোক বা ব্যায়াম কিংবা বাইরে সময় কাটানো। স্ক্রিন টাইম কমানো স্বাভাবিকভাবেই আরো সক্রিয় জীবনধারার দিকে নিয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
সামাজিক যোগাযোগ বাড়ে
সাম্প্রতিককালে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ অনেকটাই অনলাইন-নির্ভর হয়ে উঠেছে, যা বাস্তব জীবনের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছে। ফোন থেকে বিরতি নিলে আপনি ব্যক্তিগতভাবে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, মুখোমুখি আলাপচারিতা, অনলাইন দুনিয়ার তুলনায় আপনাকে অনেক বেশি মানসিক তৃপ্তি দিতে পারে।
ফোকাস ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়
স্মার্টফোন সব সময় বিভ্রান্তির উৎস। নোটিফিকেশন ও মেসেজের আনাগোনা কম থাকলে মনোযোগ বাড়ে। আপনি লক্ষ্য করবেন যে, আপনার কাজগুলো তখন আরো দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এক মাস ফোন না ব্যবহার করা মনোযোগ পুনর্গঠন করতে, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।