মস্তিষ্কের কোষের জটিল ইলেকট্রোকেমিক্যাল কার্যপ্রণালী অনুকরণ করতে সক্ষম কৃত্রিম নিউরন তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসসি ভিটারবি স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্কুল অব অ্যাডভান্সড কম্পিউটিংয়ের বিজ্ঞানীরা। এই উদ্ভাবনের ফলে চিপের আকার আরও ছোট করা সম্ভব হবে এবং শক্তি খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এটি নিউরোমরফিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বড় সাফল্য, যা ভবিষ্যতের স্মার্ট ও শক্তি-দক্ষ কম্পিউটিং সিস্টেমের পথ প্রশস্ত করবে।
কৃত্রিম নিউরন দিয়ে তৈরি চিপ প্রচলিত প্রসেসর বা সিলিকনভিত্তিক নিউরোমরফিক চিপের মতো নয়। নিউরনের মতো মস্তিষ্কের নিউরোকেমিক্যালস কাজের পদ্ধতি অনুকরণ করতে পারে বলে চিপটিকে এখনকার প্রচলিত সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তির পরিপূরক বলা হচ্ছে।
সিলিকনভিত্তিক প্রযুক্তি বর্তমানে প্রায় সব আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রে শক্তি জোগায়। এর পরিবর্তে বিজ্ঞানীরা নিউরন তৈরির জন্য একটি ডিফিউসিভ যন্ত্র তৈরি করেছেন। যন্ত্রটি কৃত্রিম নিউরন চিপ তৈরি করতে পারে, যা আমাদের মস্তিষ্কের মতো কাজ করবে।
যন্ত্রটি মানব মস্তিষ্কের মতো শরীরের কার্যকলাপ চালনার জন্য বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক উভয় সংকেত ব্যবহার করে একক ট্রানজিস্টরের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করতে সহায়তা করে। আমাদের মস্তিষ্কে এই প্রক্রিয়া পটাশিয়াম, সোডিয়াম বা ক্যালসিয়ামের মতো রাসায়নিকের ওপর নির্ভর করে।
বিজ্ঞানীরা নতুন চিপ তৈরির জন্য অক্সাইডে থাকা রৌপ্য আয়ন ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক স্পন্দন তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে ইউএসসির কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জোশুয়া ইয়াং জানান, যদিও কৃত্রিম সিনাপ্স ও নিউরনের আয়ন হুবহু একই নয়। তবে আয়নের গতি ও গতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল খুব কাছাকাছি। রৌপ্য আয়ন সহজে ছড়িয়ে পড়ে ও জৈবব্যবস্থাকে অনুকরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় গতিশীলতা দেয়।
