স্মার্টফোনকে আরও বেশি আধুনিক করার প্রয়োজনের কথা বলে এসডি কার্ডের স্লট বাতিল করতে চলেছে কয়েকটি নির্মাতা।
ডিভাইসের দাম বাড়াতেই কি এই প্রযুক্তিগত পরিবর্তন– সংশ্লিষ্টরা এমন প্রশ্নই করছেন।
স্মার্টফোনের প্রযুক্তিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের পূর্বাভাস রয়েছে। সব ধরনের স্মার্ট ডিভাইস থেকে ক্রমান্বয়ে অদৃশ্য হবে সিকিউর ডিজিটাল বা এসডি কার্ডের স্লট। ফলে অবয়বে পাতলা হয়ে স্মার্ট লুক পেতে চলেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট সব ডিভাইস।
নির্মাতারা বলছেন, গ্রাহক সুবিধার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি তাই, না এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে।
কার্ডের স্লট (এসডি) সরিয়ে নেওয়ার যুক্তি হিসেবে কয়েকটি কারণের কথা জানানো হয়েছে। নির্মাতারা দাবি করছে, বর্তমানে ফোনে যেসব ড্রাইভ থাকে, তাদের গতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আর তাই ডিভাইসে এসডি কার্ড থাকলে ফোনের গতি কমে যায়। এতে ডিভাইসে কাজের সময় সমস্যায় পড়েন অনেকে।
কেউ কেউ এক্সটার্নাল এসডি কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। এতে ফোনের ক্ষতি হয় আরও বেশি। অন্যদিকে, হুট করে এসডি কার্ড খুলে নিলে কিছু অ্যাপ্লিকেশন পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তখন ফোন নিয়ে পোহাতে হয় নানা সমস্যা। এমন সমস্যা এড়াতে এসডি কার্ডের স্লট একেবারে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি প্রযুক্তি নির্মাতা।
কিন্তু অনেক গ্যাজেট গবেষক বলছেন, ধারণাটি কার্যত এত সহজ নয়। গ্যাজেটের দাম বাড়াতেই নতুন উদ্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এসডি কার্ড না থাকার কারণে বেশি স্টোরেজযুক্ত ফোন কিনতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
অর্থাৎ ৬৪ জিবির বদলে ১২৮ বা ২৫৬ জিবির ফোনের দিকে ঝুঁকবে নির্মাতারা। আর স্টোরেজ যত বাড়বে, ডিভাইসে দাম ততটা চড়বে।
জিবি স্টোরেজ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কী হিসাবে দাম বেশি নেওয়া হবে, তার এখনও অনিশ্চিত। অর্থাৎ প্রতি জিবির জন্য গ্রাহককে কতটা বেশি ব্যয় করতে হবে, এতে ধারণা পাওয়া কঠিন।
তাই ১২৮ জিবির ফোনের তুলনায় ২৫৬ জিবির ফোনের দাম বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে, এসডি কার্ড না থাকলে তথ্য সুরক্ষার প্রয়োজনে গ্রাহককে বাধ্য হয়েই ক্লাউড স্টোরেজ ভাড়া নিতে হবে। এর জন্য মাসিক ভাড়া বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় গুনতে হবে।