ফুটবলে আধুনিকতা আর উন্ন প্রযুক্তির ছোঁয়া ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে, আর সেই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে। রিয়াল মাদ্রিদের এই সুপারস্টার এবার প্রশিক্ষণে ব্যবহার করছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ মেটা ভ্যানগার্ড স্মার্ট গ্লাস— যা তার খেলার পারফরম্যান্সের ক্ষুদ্রতম অংশও বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করছে।
মেটা (Meta) ও ওকলে’র (Oakley) যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ভ্যানগার্ড গ্লাসে রয়েছে ওকলে প্রিজম লেন্স যা ফিল্ড ভিশনকে আরও পরিষ্কার করে তোলে। এছাড়া আছে ১২ মেগাপিক্সেলের হ্যান্ডস-ফ্রি ক্যামেরা, যা থ্রি-কে রেজুলিউশনে ভিডিও ধারণ করতে পারে এবং ওপেন-ইয়ার স্পিকার সিস্টেম সমৃদ্ধ।
এমবাপে অনুশীলনের সময় তার দৌড়, ড্রিবল কিংবা শট নেয়ার প্রতিটি মুহূর্ত রেকর্ড করে পরে তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ করতে পারেন। জার্মিন বা স্ট্রাভা’র মতো পারফরম্যান্স ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে গ্লাসটি তাকে ইনস্ট্যান্ট মেট্রিক্স দেখায়। যেখানে স্পিড, অ্যাঙ্গেল, রিদম, ফুট স্টেপসহ নানা তথ্য সন্নিবেশন করা থাকে।
এমবাপে এআই চশমার বিষয়ে ব্রোবাইবেলকে বলেন, ‘একজন প্রতিযোগিতামূলক অ্যাথলেট হিসেবে আমি সবসময় এমন কিছু খুঁজে বেড়াই যা আমাকে বাড়তি সুবিধা দেয়। মেটা আর ওকলে যা তৈরি করেছে, এটা দারুণ— কারণ এটা প্রযুক্তি আর প্রশিক্ষণের সীমাকে নতুন স্তরে নিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল ব্যাপার হলো—উন্নতি করা, কিন্তু খেলায় মনোযোগ হারানো নয়। এই প্রযুক্তি সেই ভারসাম্যটা বজায় রাখে।’
ইউক্রেনের বিপক্ষে ৪–০ গোলের জয় দিয়ে ফ্রান্স ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। সেই ম্যাচে দুটি গোল করেন এমবাপে। এ নিয়ে টানা ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করলেন তিনি— যা ফরাসি কিংবদন্তি জ্যাঁ-পিয়েরে পাপাঁর রেকর্ডের খুব কাছাকাছি (টানা ৭ ম্যাচে)।
তবে ম্যাচের পরই তাদের ব্যস্ততা কমেনি। ইউক্রেন ম্যাচের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই দলকে যাত্রা করতে হয় আজারবাইজানে। এই সফরে এমবাপে, কামাভিঙ্গা ও অন্য এক তারকা চোটের কারণে দলে ছিলেন না।
তবুও ইউক্রেনের বিপক্ষে এমবাপের পারফরম্যান্স ছিল ঐতিহাসিক। তিনি বলেন, ‘এটা আমার দেখা সবচেয়ে প্রতিভাবান ফরাসি দল। আমাদের সম্ভাবনা অসীম। শক্তিতে আমরা এখনো ২০১৮ বা ২০২২ দলের পর্যায়ে যাইনি, কিন্তু হওয়ার ১০০% সম্ভাবনা আছে।’
